আদালতের নির্দেশে অবশেষে স্বস্তিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি

আদালতের নির্দেশে অবশেষে স্বস্তিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আসানসোল প্রবেশের ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা এবার দূর হল। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণও হয়। অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন জিতেন্দ্র জায়া কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যাওয়ার পরেই শুরু হয় কম্বল বিতরণ। তখনই এলাকায় তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সমবেত জনতার মধ্যে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক হুড়োহুড়ি। অনেকেই মাটিতে পড়ে যান। ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। ঘটনায় মারা যান ঝালি বাউরি নামে মহিলা। তাঁর পরিবারের সদস্য পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মামলাতেই ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ১৮ মার্চ দিল্লির কাছে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে জিতেন্দ্রকে। একমাস ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হলেও বেশ কিছু শর্ত চাপানো হয় তাঁর ওপর। এই সব শর্তের মধ্যে ছিল শুনানির দিন দিতে হবে হাজিরা। আসানসোল পুর এলাকায় আর তিনি ঢুকতে পারবেন না। এরই মাঝে পঞ্চায়েত ভোটের সময় তিনি দুর্গাপুরে প্রচারে এসেছিলেন। কিন্ত, আদালতের নির্দেশের কারণেই আসতে পারেননি আসানসোলে। প্রায় গত ৬ মাস তিনি নিজের শহরের বাইরেই ছিলেন। যেতে পারেননি বাড়িতে। অবশেষে হাইকোর্টেরই নির্দেশে মিলল স্বস্তি। উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =