সুপার নিউমেরারি মামলায় স্বস্তি পেলেন না চাকরিপ্রার্থীরা। স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগের জন্য যে অতিরিক্ত পদ তৈরি করেছিল,তাতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ বহাল রাখল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। আপাতত কোনও নিয়োগ করা যাবে না বলেই নির্দেশ আদালতের।
প্রসঙ্গত, শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। মামলাকারীদের আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত আদালতে সওয়াল করেন, দু’বছর ধরে অপেক্ষায় বসে আছে চাকরিপ্রার্থীরা। একইসঙ্গে তিনি এ প্রশ্নও করেন, অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ থাকতে পারে কি না তা নিয়ে। আইনজীবী আরও উল্লেখ করেন, সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি হয়েছিল মন্ত্রিসভার অনুমতি নিয়েই। তবে এই যুক্তি শুনেও আপত্তি জানায় ডিভিশন বেঞ্চ।
এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতি সৌমেন সেন প্রশ্ন করেন,’যদি শেষে দেখা যায় যে রাজ্য সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করতেই পারে না, তাহলে কী লাভ স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে?’এরই রেশ ধরে বিচারপতি এদিন এও বলেন,যদি বৈধতাই না থাকে তাহলে ফের নতুন সমস্যা হবে।
এদিনের শুনানিতে আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন,যারা মামলা করেছে, তারা পাশই করেনি। তাহলে এই মামলার কী অর্থ তা নিয়েও। শুধু তাই নয়, সাংবিধানিক অধিকার আছে কি না সেটা নিয়ে একটা প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশ আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করাটাই নীতি-বিরুদ্ধ। সঙ্গে এও জানান, শূন্যপদের সংখ্যা কত তা আগে থেকে বলে দিতে হয়, এটাই নিয়ম।
আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১৮ জুন এই সংক্রান্ত মামলা রয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চে।