জুনিয়র ডাক্তারেরা কী করবেন তা নিজেরাই জানেন নাঃ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে একই সুর শোনা গেল  তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায়। রবিবার সল্টলেকের ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে  প্রাক্তন বিচারপতি জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জানান, ডাক্তারদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। কিন্তু পরে রাজনৈতিক নেতাদের প্রায় প্রত্যক্ষ যোগ দেখা দেয়। এই আন্দোলনকে ওভাবে চ্যানেলাইজ করা উচিত হয়নি। এটা রাজনৈতিক আন্দোলন হওয়ায় তা অন্ধগলিতে ঢুকে পড়ল।যা উচিত হয়নি। এখন এরা কী করবে, তা নিজেরাই জানে না।

প্রসঙ্গত রবিবার সকালেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। তাঁর কথায়, ‘চিকিৎসকদের আলাদা ফ্রন্ট তৈরি করেছে তৃণমূল। কিছু বাম এবং অতি বাম এদের আন্দোলনকে বিপথে চালিত করছে। যেভাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পলকেগো ব্যাকস্লোগান দেওয়া হয়েছে, তাতে সমগ্র মানুষের আন্দোলন থেকে বিচ্যুতি ঘটেছে। অনিকেত মাহাতোরা ভুগছেন। বাম এবং অতি বামদের জন্য এই আন্দোলনের অপমৃত্যু হয়েছে।এরই পাশাপাশি সুকান্তর দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের নয়া সংগঠন জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বকলমে তৃণমূলেরই। তাঁদের এসব বক্তব্যের অবশ্য বিরোধিতা করেছেন দেবাশিস হালদাররা। চিকিৎসকদের আন্দোলনকে রাজনীতির ছোঁয়াচ থেকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন বলে পালটা দাবি তাঁদের।প্রায় একই সুর শোনা গেল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায়। 

দলেরনেতাদেরএহেনবক্তব্যেরসঙ্গেঅবশ্যভিন্নমতদিলীপঘোষের।তিনিবললেন, ‘অরাজনৈতিক আন্দোলনে কোনো পরিবর্তন হয় না, আগেই বলেছিলাম। এতেও তাই হয়েছে। আর তাছাড়া ডাক্তারদের এই আন্দোলনে আসলে কি নির্যাতিতার পরিবার সুবিচার পেল বা তাঁদের কী হল, সেটাও ভাবার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =