সেমিনার রুম চত্বর ভাঙায় সমর্থন নেওয়া হয় জুনিয়র চিকিৎসকদেরও

সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার সিদ্ধান্তে শরিক চেস্ট মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র চিকিৎসকেরাও। অন্ত যে তথ্য় সামনে এসেছে তাতে তাই প্রমাণিত হয়।  সূত্রের খবর, ঘটনার পর দিনই সেমিনার রুমের সন্নিহিত এলাকা ভাঙার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়। অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনকে অন্ধকারে রেখেই সেই ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল। এদিকে এই সেমিনার রুম থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তিলোত্তমার দেহ।

যে জায়গা ভাঙা নিয়ে এত বিতর্ক সেই ভাঙার অর্ডার কপিতে সই রয়েছে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। অন্যদিকে আরও একটি হাতে লেখা নথি সামনে আসছে। সেই নথিতে ১৮ জন পিজিটির সই রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা সেমিনার রুম চত্বর ভাঙতে দিতে রাজি হলেন সেই প্রশ্নও এবার জোরালো হচ্ছে। কেন কেউ প্রতিবাদ করল না সেই প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে এই প্রসঙ্গে পিজিটিরা জানান, সংস্কারের সিদ্ধান্তে শরিক হলেও কবে ভাঙা হবে তা জানতেন না। কোথায় ভাঙা হবে জানতেন ,কিন্তু তবে ভাঙা হবে সেই খবর ছিল না। দাবি করছেন নথিতে সই থাকা পিজিটি চিকিৎসকেরা। ফলে সই করা পিজিটিদের অন্ধকারে রেখেই সেমিনার রুম চত্বরে কাজ শুরু হয় কি না তা নিয়েও প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। রিজিটি চিকৎসকদের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে জানানো হয় যে, ‘১২ তারিখ ঘটনা ঘটলেও ১৩ তারিখে ঘটনার কথা জানতে পারি। আমরা তো একটানা আন্দোলনে ছিলাম। সেই সময় আলাদা করে আর প্রশ্ন করা হয়নি বিষয়টি নিয়ে। কবে সেখানে কাজ হবে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু, যখন কাজ হচ্ছিল সেখানে তো পুলিশ পোস্টিং ছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + two =