রাঁচির ‘রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’-এ জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকের শ্লীলতাহানি

এক জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল রাঁচির সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ, গত রবিবার রাতে রাঁচির ‘রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ (রিমস)হাসপাতালের অঙ্কোলজি বিভাগে কর্মরত মহিলা জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারকে লিফটের মধ্যে নিগ্রহের করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই কুলদীপ কুমার নামে স্থানীয় একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

রবিবারের ওই ঘটনার প্রতিবাদে রিমস-এর চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। পরে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়ার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, প্রতিটি লিফটে অপারেটর নিয়োগ করা হবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে সশস্ত্র পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে। হাসপাতাল চত্বরে অন্তত ১০০ পুলিশকর্মী মোতায়েনের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনার পর থেকেই সরব চিকিৎসকেরা। বার বার উঠে এসেছে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থলের দাবি। তারই মাঝে মুম্বই, দেরাদুন, বেঙ্গালুরুর মতো শহরে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের যৌন নিগ্রহের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ আরজি করের ঘটনায় নেওয়া স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর মানার কথাও উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 1 =