জলপাইগুড়িতে দম্পতির আত্মহত্যায় রাজ্য পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল কালিয়াপ্পন জয়রামনের তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট এদিন মুখ বন্ধ খামে জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে। রিপোর্ট দেখে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এডিজি-র রিপোর্ট দেখে আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে যে বিষয়ে তদন্তে নজর দেওয়ার কথা, তা দেখা হচ্ছে। আদালত সেই রিপোর্ট প্রকাশ না করে ফের মুখ বন্ধ করেই এদিন পাঠিয়ে দেয় জয়রামনের কাছে। পাশাপাশি নির্দেশ দেন, আগামী দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১ এপ্রিলে। জলপাইগুড়ি শহরের পাণ্ডাপাড়া রোড এলাকার দম্পতি সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্যের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’জনই সমাজসেবী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। একইসঙ্গে এ অভিযোগও ওঠে, সুবোধবাবু ও অপর্ণাদেবী কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এদিকে এই দম্পতি আবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়কের আত্মীয়। এই দম্পতির দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি চার পাতার একটি সুইসাইড নোটও মেলে। সেখানে নাম থাকতে দেখা যায় স্থানীয় যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও দু’জনের। সেখানে মেলে তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের কথাও। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই সৈকত ফেরার বলেই জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি ভট্টাচার্য দম্পতির মেয়ে তানিয়া ভট্টাচার্যকে নিয়ে নমুনা সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কর্তা কালিয়াপ্পন জয়রামন। এরপর জমা পড়ে সেই ঘটনার রিপোর্ট।
এই ঘটনার শুনানির পর শুক্রবার সরকার পক্ষের আইনজীবী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা। মামলাকারীরা রাজ্য পুলিশকে দিয়ে তদন্ত না করিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত চেয়েছিল। আজ শুনানি হল। বিচারপতি তদন্তকারীর রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট। মামলাকারীদের সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজও করে দিয়েছেন।‘