প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি সেন

প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হল না সোমবার। এদিকে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। আদালত সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়ছেন তিনি। ২০২৩ সালে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল এদিন।

এবার এই মামলা যাবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কাছে। তিনি নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করবেন। সেখানেই হবে পরবর্তী শুনানি। আপাততস সেই ৩২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল।

সদ্য সুপ্রিম কোর্টের রাজ্যে এ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। স্কুলে স্কুলে শিক্ষকের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিকের চাকরি সংক্রান্ত ওই মামলাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, ২০২৪-এর জানুয়ারিতেও নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি সৌমেন সেন। প্রথমে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত সব মামলা সরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে উচ্চ প্রাথমিকের একটি মামলা আংশিকভাবে শোনার কথা থাকলেও, তা শোনেননি বিচারপতি সেন। ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

সেই সময় বিচারপতি পদে থাকা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বিচারপতি সেনের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছিল। মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে দিনই বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিল। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সরাসরি বিচারপতি সেনকে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট বলে উল্লেখ করেছিলেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − seven =