মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী ঘোষণায় বিস্মিত বিচারপতি সিনহা

,মনোনয়ন সঠিক সময় জমা পড়েনি বলে ভাঙড় ২ ব্লকের ৮১ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে তাদের মনোনয়ন বাতিল বলেই জানানো হয়। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইএসএফ প্রার্থীরা। মনোনয়ন বহাল রাখার আবেদন করে মামলা দায়েরও করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় দুপুর ২টোয় পরবর্তী শুনানি হবে। এদিকে এদিন এই মামলার শুনানির শুরুতেই মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, ২০ জুন অর্থাৎ মনোননয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন অবধি তালিকায় আইএসএফ প্রার্থীদের নাম ছিল। সেদিনই রাত থেকে ৮১ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম তালিকা থেকে উধাও হয়ে যায়। ওই প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মামলাকারীদের আইনজীবীর এই বক্তব্য শুনে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এগুলো কী হচ্ছে? আমি তো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।’ শাসকদলের আইনজীবী বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আনকন্টেস্টেড। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছি। এমনকী জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া হয়ে গিয়েছে।’ জবাব শুনে অবাক হয়ে যান বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, ‘আনকন্টেস্টেড! আপনারা জিতেও গেলেন? কি হচ্ছে এগুলো?’

এদিকে বুধবার হাওড়ার উলুবেড়িয়া ১ ব্লকে সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে নথি বিকৃতির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই বাম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম ও তনুজা বেগম। জাতিগত শংসাপত্রের নথি বিকৃত করা হয়েছে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন দুই বাম প্রার্থী। এরপর এই মামলায় নজিরবিহীনভাবে উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে-র বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। সিবিআইকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর আদালত জানিয়েছে, রাজ্যের আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত রাজ্য সরকারের করা উচিত হবে না। সেই কারণে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এত হিংসা ও সন্ত্রাসের মধ্যে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলেও বুধবার মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + 7 =