রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার জ্যোতিপ্রিয়র সল্টলেক ও বোলপুরের বাড়ি বাজেয়াপ্ত

রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেক ও বোলপুরের বাড়ি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সূত্রের খবর, বাকিবুর রহমানের কলকাতা ও বেঙ্গালুরুর ২টি হোটেলও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায়ের পাথরঘাটায় ৯৬ কাঠা, সুলতানপুরে ১১৭ কাঠা, মহেশতলায় ২৮২ কাঠা, নিউটাউনে ১৩৬ কাঠা জমি ও শান্তিপ্রসাদ সিংহের পূর্ব যাদবপুরের একটি বেনামী ফ্ল‌্যাট এবং কাপাসহাটিতে দু’টি জমি ইডি বাজেয়াপ্ত করে। এই সব সম্পত্তি মিলিয়ে মোট পরিমাণ ২৩০ কোটির বেশি। অন্যদিকে, রেশন বন্টন দুর্নীতির ক্ষেত্রে মোট ৪৮টি সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেক ও বোলপুরে বাড়ি, গাড়ি, বেনামী সম্পত্তি। বাকিবুরের কলকাতা ও বেঙ্গালুরুরর দু’টি হোটেল, প্রচুর ব‌্যাঙ্ক অ‌্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যে কোটি টাকার উপর সম্পত্তি পরিবারের অন‌্য সদস‌্যদের কাছ থেকে ‘উপহার’ হিসাবে পেয়েছিলেন, সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইডি-র তরফ থেকে। এদিকে সূত্রে খবর, সল্টলেকের যে বাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয় সেখানেই গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত মন্ত্রী হিসাবে থাকতেন বালু। পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি রয়েছে শান্তিনিকেতনেও। কোটি টাকার উপরে নাকি সেই বিলাসবহুল বাড়ির দাম। নাম ‘দোতারা’। সেই দোতারাই এবার ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে খবর।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রেশন দুর্নীতি মামলার তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে ইডি জানিয়েছিল, গত ২০১৪-১৫ সাল থেকে মোট ৩৫০ কোটি টাকা দুবাই পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে বিপুল টাকা পাচার করা হয় বলেই অভিযোগ। ২০১৪-১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই টাকা দুবাইতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়েছে বলেই দাবি। এবার অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তদন্ত যত এগোচ্ছে প্রভাবশালীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টিও সামনে আসতে শুরু করেছে এবার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 9 =