রাত পার হলেই কালীগঞ্জের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর পানিঘাটা হাইস্কুলের গণনাকেন্দ্রে সকাল ৮ টা গণনা শুরু হবে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট। তারপরে ইভিএম-এর ভোটগণনা হবে। গণনার জন্য দুটি হল ঘর থাকছে। সেখানে থাকবে আটটি করে মোট ১৬টি টেবিল। সাড়ে ১২ টার মধ্যে ফল ঘোষণা-সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হবে। আশাবাদী রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) ও তাঁর দফতর। এখনও পর্যন্ত যা খবর তা জানা যাচ্ছে মোট ২০ রাউন্ড গণনা হবে। মোট বুথ ৩০৯।
ইতিমধ্যেই ভোটের পর থেকেই স্ট্রং-রুম পাহারায় রয়েছে এক প্ল্যাটুন অর্থাৎ চব্বিশ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। তিনটি শিফটে চলছে তাঁদের ডিউটি। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যদি কোনও রাজনৈতিক দল স্ট্রং রুম পর্যবেক্ষণ করতে চায়, তবে রিটার্নিং অফিসারের থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি সাপেক্ষে ২৪ ঘন্টাই স্ট্রংরুমের ১০০ মিটারের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে থাকার সুযোগ আছে। পর্যবেক্ষণও করতে পারবেন।
এদিকে গণনা কেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢোকার মুখে অর্থাৎ গণনা কেন্দ্রের বাইরে (রাস্তায়) থাকবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। থাকছে লাঠিধারী পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। দ্বিতীয় স্তরে থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃতীয় স্তরে কেবলমাত্র থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলির যে সমস্ত এজেন্ট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে চাইবেন তাঁরা সঙ্গে শুধুমাত্র সাদা কাগজ ও কলম নিতে পারবেন। গণনা কেন্দ্রে ক্যামেরা বা মোবাইল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেবলমাত্র সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং রিটার্নিং অফিসার মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ। হাসপাতালে ভর্তি করেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তারপর থেকেই এই আসন ছিল বিধায়কহীন। অবশেষে গত শনিবার হয় নির্বাচন। এই অন্তর্বর্তী নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়েছেন নাসিরুদ্দিনেরই কন্যা আলিফা আহমেদ। অন্যদিকে বিজেপির টিকিটে লড়েছেন আশিস ঘোষ। সারাদিনব্যাপী ভোট পড়েছিল প্রায় ৬৯ শতাংশ।