কুণাল যে অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে এনেছেন তার একপারে রয়েছে রয়েছেন এমন এক ব্যক্তি যার নামের আদ্যক্ষর ‘স’। অন্যপারে যিনি রয়েছেন তাঁর নামের আদ্যক্ষর ‘ক’। এরইমধ্যে শুক্রবার রাতে সঞ্জীব দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার সকালে গ্রেফতার সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্ত। তাতেই নিয়েই জোর বিতর্ক রাজনীতির পাড়ায়। সিপিএম তো বটেই কলতানের গ্রেফতারির পিছনে তৃণমূলের প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখছে বিজেপি।
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, ‘কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে? অডিয়ো ক্লিপ কী করে কুণাল ঘোষের কাছে গেল? আর তার ভিত্তিতেই বা পুলিশ গ্রেফতার করল কীভাবে? আসলে তৃণমূল কংগ্রেস অসহিষ্ণু দল। কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারকে খুব একটা গণতান্ত্রিক বলা যায় না। তিনি নাশকতার ছক কষছিলেন এরকম কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু, আমি তাঁকে যতদূর চিনি তাতে আমার মনে হয় না তিনি এরকম কাজ করার মতো মানুষ নন। তাই আমাদের মত এই গ্রেফতারি একটা স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপ ছাড়া কিছু নয়।’
এরই পাশাপাশি শমীক বামেদের খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল বামেদের আক্রমণ করছে বলে বার্তা দিতে চাইছে। কিন্তু একইসঙ্গে দুর্ভাগ্যবশত এই তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম পায়ে পা মিলিয়ে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করছেন।’
অন্যদিকে কুণালের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছেন বাম নেতা তথা প্রখ্যাত আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, ‘পুলিশের প্রথম কাজ ছিল কুণালকে হেফাজতে নেওয়া। উনি এই অডিয়ো ক্লিপ কোথা থেকে পেলেন, কে দিল এগুলো জানতে হবে। আমার তো মনে হয় কুণালবাবু ও তাঁর লোকজন ডাক্তারদের আন্দোলন ভাঙার জন্য এটা তৈরি করেছে। এই গ্রেফতারি স্ক্রিপ্টেড। কুণালবাবু তো বলবার চেষ্টা করেছিলেন এর পিছনে বামপন্থী সংগঠন যুক্ত আছে। সেটাকে মান্যতা দেওয়ার জন্য হয়তো কলতানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু আমার মনে হয় এটাও সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় আনা উচিত। সিবিআইয়ের তদন্তকে বিপথে পরিচালনা করার জন্যই এসব হচ্ছে।’
একই সুর বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও। তাঁর দাবি, আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলছেন, ‘এভাবেই প্রশাসন চলছে। এটা যে মিথ্যা অভিযোগ তা প্রমাণিত হয়ে যাবে। তৃণমূলের করে দেওয়া বন্দোবস্তে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশের উচিত কোথা থেকে অডিয়ো এল, কীভাবে কুণাল পেল তা আগে পুলিশের জানা দরকার ছিল। আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার ছিল। কিন্তু পুলিশ তো এক তরফাভাবে চলছে।’