হাইকোর্টে জামিন পেলেন বাম নেতা কলতান দাশগুপ্ত। শুধু তাই নয়, আদালত থেকে তাঁকে দেওয়া হল রক্ষাকবচও। গত শনিবার কলতান দাশুগুপ্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। বুধবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। কন্ঠস্বর আদৌ কলতানের কি না, তা কীভাবে প্রমাণিত হল, সেই প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্টের বিচারপতি। এর পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে, অডিয়ো ক্লিপ-কাণ্ডে গ্রেফতারির আগেই কীভাবে তা একজন রাজনৈতিক নেতার কাছে চলে গেল তা নিয়েও।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। এরপর সন্ধ্যায় রায় দেয় হাইকোর্ট। ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে কলতানকে জামিন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে রক্ষাকবচও। অর্থাৎ আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না কলতানকে।
গত শুক্রবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ একটি অডিয়ো প্রকাশ করে। সেখানে দুটি কন্ঠস্বর শোনা যায়। একদিকের ব্যক্তিকে ‘স’ ও আর এক দিকের ব্যক্তিকে ‘ক’ বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল নেতা। অডিয়ো প্রকাশ হওয়ার পরই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। তার ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। কলতান ছাড়া সঞ্জীব নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
হাইকোর্টে কলতানের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, কে কল রেকর্ড করল তা নিয়েও। একইসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়, ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল কি না সে ব্যাপারেও। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, সিবিআই-কে তদন্তভার দিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে অর্ডারে তেমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।