মানিকতলায় ভোট লুঠের অভিযোগ তুলল বঙ্গ স্য়াফ্রন ব্রিগেড। এমনকি দলের প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে দেখা গেল ভোট লুঠ নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিতেও। বুধবার ভোট চলাকালীনই ভোট লুঠের অভিযোগ তুলে ফুলবাগান থানার সামনে অবস্থানে বসে বিজেপি। দলীয় কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপির অভিযোগ, ভোট লুঠ করছে তৃণমূল। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি।
বিজেপির অভিযোগ, গত লোকসভা ভোটে ৩১ নং ওয়ার্ডে বিজেপি প্রায় ছয় হাজার ভোটে এগিয়েছিল। সেই আতঙ্ক থেকেই এদিন ৩০ এবং ৩১ নং ওয়ার্ডে রীতিমতো ছক কষে ভোট লুঠ করেছে। কল্যাণের অভিযোগ, পুলিশ তৃণমূলকে সাহায্য করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও গলিতে গলিতে ঘুরে বেড়িয়েছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। এই অভিযোগ তুলে ফুলবাগান থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। মানিকতলায় ভোট লুঠের প্রতিবাদে ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। পরে অবশ্য দলের নির্দেশ ভোট দিতে যান তিনি।
বুধবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু পর থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর উঠে এসেছে। উপনির্বাচন চলাকালীন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। ওঠে চোর চোর স্লোগান। তাঁর গাড়িতে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। দুপুরে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা।