কাঁথি কো-অপারেটিভ কৃষি এবং গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাঙ্কের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর ক্ষেত্রে সায় নেই আদালতের। সঙ্গে আদালতের তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। আর সেই কারণেই তা খারিজ করল আদালত। পাশাপাশি এও জানানো হয়, প্রয়োজনে শীর্ষ আদালতে যান। এটা জনস্বার্থ মামলা নয় বলেই পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের।
এদিকে আগামী শনিবার কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন। সেখানে শাসকদলের সমর্থিত প্রার্থীরা অশান্তি করতে পারে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওই জায়গায় এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবারের নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করতে গিয়ে জানান,নির্বাচনে ঝামেলা এখন বাংলার ট্রেন্ড। সিসিটিভি ফুটেজ আর বাহিনী লাগবে।
এরই প্রেক্ষিতে রাজ্যের হয়ে এজি আদালতে বলেন, ‘এসে শুধু বললেই হয় না, অনুমান করলেই হয় না। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে প্রমাণ দিতে হবে।’ এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘পাঁচটি পোলিং সেন্টার নিয়ে প্রশ্ন, তাহলে সব কেন্দ্রেই বাহিনী কেন?’
প্রসঙ্গত, এর আগে কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এক সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল কারচুপি রুখতে। কিন্তু কাঁথির এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সায় নেই কলকাতা হাইকোর্টের। আদালত সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।