কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার ১০ থেকে ১২ টি আইন কলেজে রছাত্রছাত্রী এবং প্রাক্তনীরা সোমবার জড়ো হয়েছিলে নকসবায়।এই বিক্ষোভ মিছিলে দেখা গেছেআইনের ছাত্রছাত্রী এবং প্রাক্তনীদের মুখ। কলেজের বর্তমান ছাত্রছাত্রীরাও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেন। দাবি একটাই, ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের অবিলম্বে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তা।
এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকছে কসবার আইন কলেজ। কলেজের ওয়েবসাইটে সে সংক্রান্ত নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আপাতত গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তক্রমে সমস্ত বিএ.এলএলবি ও এলএল.এম ক্লাস বন্ধ থাকবে। কলেজ চত্বরে কোনও পড়ুয়া প্রবেশ করতে পারবেন না। পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কলেজ। এদিকে স্থানীয় লূত্রে খবর, কলকাতার ১০ থেকে ১২টি আইন কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং প্রাক্তনী সোমবার জড়ো হয়েছিলেন কসবায়। দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কসবা থানা থেকে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ পর্যন্ত হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করেন তাঁরা। এর পাশাপাশি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। উপাচার্যকে দেওয়ার জন্য একটি ডেপুটেশন তৈরি করেন তাঁরা। তবে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
এদিকে এই নোটিসে কপালে হাত কলেজ পড়ুয়াদের।এ ভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস সাসপেনশনের বিজ্ঞপ্তিতে, তাঁদের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। তবে কলেজের পড়ুযাদের বিরাট এক অংশের দাবি, কলেজের রেপুটেশন কম্প্রোমাইজড। যে ঘটনা ঘটেছে, নিরাপত্তার অভাবের জন্য যথেষ্ট। একইসঙ্গে তাঁরা এও জানান, ‘কলেজের ভেতর অজস্র লোক আই কার্ড ছাড়া ঢুকত।’
দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কসবা থানা থেকে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ পর্যন্ত হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করেন তাঁরা। এর পাশাপাশি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। উপাচার্যকে দেওয়ার জন্য একটি ডেপুটেশন তৈরি করেন তাঁরা। তবে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
এ দিকে এই নোটিসে কপালে হাত কলেজ পড়ুয়াদের। এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলেছে, এই প্রতিবাদের কথা জানতেই মনোজিতের গ্যাং প্রতিবাদ আন্দোলেনর সংগঠক পড়ুয়াদের ধরে ধরে হুমকি দিতে শুরু করে।যদিও হুমকি মুখে একজোট হয়ে পাল্টা প্রতিবাদ করেছেন ওই পড়ুয়ারা। এত বড় ঘটনা ঘটার পরেও কী ভাবে মনোজিতের গ্যাং হুমকি দেওয়ার সাহস পাচ্ছে, কে সেই সাহস জোগাচ্ছে— এই সব নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন উঠছে ক্যাম্পাসের মধ্যেই।