পুরনোদেরকে সরিয়ে রাখাতেই খারাপ ফল নন্দীগ্রামে, জানলেন সুফিয়ান

পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে সবুজ সুনামির মধ্যেও নন্দীগ্রাম নিয়ে ‘অসন্তুষ্ট’ তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরিখে সেখানে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে বিজেপি। সম্প্রতি এই নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের অন্তর্ঘাতের দিকেই ইঙ্গিত করেন নন্দীগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ । তৃণমূল মুখপাত্র বলেছিলেন, এই ফলের পিছনে স্থানীয় ‘সমীকরণ’ দায়ী। এদিকে ২০২১-এ শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ের পর নন্দীগ্রাম ছিল তৃণমূলের কাছে ‘প্রেস্টিজ ফাইট’।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণালের মন্তব্য প্রসঙ্গেও এবার মুখ খুললেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য শেখ সুফিয়ান। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের খারাপ ফলের কারণ হিসেবে ‘অন্তর্ঘাত’ তত্ত্ব মানতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট। বিপর্যয়ের পিছনে পুরনো-নতুন কোন্দলকেই দায়ী করেন এই তৃণমূল নেতা। কুণাল ঘোষের মন্তব্য নিয়ে সুফিয়ান জানান,’উনি কোন সমীকরণের কথা বলেছেন আমি বলতে পারব না। তবে এখানে অন্তর্ঘাতের কোনও গল্প নেই। ভোটে অন্তর্ঘাত হয়নি। তবে এখানে দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে কোনও ঐক্য ছিল না এটা আমি বলতে পারি।’ এই প্রসঙ্গে সুফিয়ান এও জানান, ‘এখানে নতুন পুরনোদের মধ্যে সমস্যা ছিল। সেটা সমাধান করে দিলেই নন্দীগ্রামে দারুণ ফল করত তৃণমূল। কিন্তু পুরনোদের সম্পূর্ণ সাইডলাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমস্যা সেখানেই ছিল। পুরনোদের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাথা-যন্ত্রণা ছিল।যে কারণে দল খারাপ ফল করলেও পুরনোরা এখনও চুপচাপ রয়েছে।’
এই প্রসঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র শেখ সুফিয়ানকে উদ্দেশ্য করে বলেন’এখন উনি নিজের বিচার করে এই কথা বলেছেন। উনি নিজেও জেলা কমিটির এক পদে রয়েছেন। যদি জেলা কমিটির অন্য কেউ ভুল করে তবে উনি তা বলতে পারতেন। এবার দলের শীর্ষ ও রাজ্য নেতৃ্ত্ব এবার যা করার করবেন। নন্দীগ্রামে হেরেছে এটা যদিও আমি স্বীকার করছি না। তুলনামূলকভাবে আগের তুলনায় অনেক ভালো ফল করেছে। জেলা পরিষদের ভোটে প্রায় ১০ হাজারের বেশি লিড হয়েছে। এটা আগামী দিনে আমাদের সাহায্য করবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + five =

preload imagepreload image