উত্তর কলকাতায় বেশ কিছুদিন ধরেই দাপিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছে কার্তিক ওরফে অমিত সোনকরের বিরুদ্ধে। অমিত অপরাধ জগতের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত। এলাকায় সে পরিচিত ‘খরগোশ’ নামে। তার উৎপাতে অতিষ্ঠও হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের বিরাট একটি অংশ। তার বিরুদ্ধে টানা অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ আসছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, খড়্গপুরের একটি ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল খরগোশ। এই গটনায় তাকে জেলও খাটতে হয়। তবে তাতেও কোনওভাবেই স্বভাব বদলায়নি অমিতের। জেল থেকে বেরিয়ে ফের তোলাবাজির কারবার চালাচ্ছিল সে। সেই কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই খুঁজছিল জোড়াবাগান থানার পুলিশ। অবেশষে কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই খরগোশ। খরগোশের সূত্র ধরে তারই সঙ্গী চ্যাপ্টা ওরফে অমিত সিং-কেও গ্রেফতার করেন লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের একটি দল ৭ এমএম পিস্তল এবং আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার করে এদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান, বড়বাজার এলাকায় তোলাবাজি, হুমকি-সহ নানা অপরাধ মূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল অমিত সোনকর। অমিত এর পাশাপাশি এলাকায় অটোচালক বলেও জানা গেছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। তবে খরগোশ মূলত হাওড়ায় আস্তানা করেই কলকাতায় অপারেশন চালাত। মূলত তাদের টার্গেট ছিল ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা। আর এই অমিত সোনকরকেই নানা ভাবে সাহায্য করত চ্যাপ্টা ওরফে অমিত সিং। সম্প্রতি লালবাজারের গোয়েন্দাদের কাছে অভিযোগ আসে, খরগোশ এবং চ্যাপ্টা ফের জোড়াবাগান এলাকায় তোলাবাজি শুরু করেছে। এরপরই এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে।