ঢাকে পড়ল কাঠি, খুঁটিপুজোর মধ্য দিয়ে মায়ের বন্দনার শুরু সংঘতীর্থের

ঢাকে পড়ল কাঠি। পুজো আসতে আরও বেশ কিছুদিন বাকি। কিন্তু ঘরের মেয়ে আসছেন বলে কথা। সুতরাং তার প্রস্তুতি তো আগেভাগেই নিতেই হবে বাপের বাড়ির লোকেদের। সেই কারণেই এতো ব্যস্ততা সংঘংতীর্থের পুজো উদ্যোক্তাদের। বছরে মাত্র চারটে দিনের জন্য় তো আসে মেয়ে। চারটে দিন-ই বা বলি কী করে! নবমী পুজোর পর থেকেই তো সবার মন খারাপ শুরু। মেয়ে আবার ফিরবে তাঁর স্বামীর কাছে। হিসেব মতো দেখতে গেলে ওই দিন-তিনেক-ই তো হলো। তাই এই তিনটে দিন যাতে মেয়ের যত্ন আত্মিতে কোনও  ত্রুটি না থাকে সেই দিকে কড়া নজর বাপের বাড়ি প্রত্যেক সদস্যের। আর তার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হল খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়েই।

সংঘতীর্থের খুঁটি পুজো হবে রবিবার, ৬ অগাস্ট সকাল ৯টার সময় এই  খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে চরম ব্যস্ততা নজরে আসবে উত্তর কলকাতার হাতিবাগানের এক্কেবারে কাছে লাহা কলোনির মাঠে গেলেই। অনেকে এটাকে চাউল পট্টির মাঠও বলে থাকেন। সে যে নামেই ডাকা হোক না কেন পুজো সংঘতীর্থের। গুগল ম্যাপে মারলেই এক বারেই খুঁজে পাওয়া যাবে সংঘতীর্থের পুজো মণ্ডপের অবস্থান। সুতরাং আসার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধাই নেই। শোভাবাজার থেকেও আসা যায়। হাতিবাগানের দিকে এগোলে পুজো মণ্ডপ বা এই মাঠ পড়বে ডান হাতে। খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী শশী পাঁজা এবারের পুজোর থিম এক্ষুনি বলা যাবে না। ওটাই তো চমক। তবে সংঘতীর্থের পুজো সম্পর্কে বলে রাখি, এবার এই পুজো পা দিচ্ছে ৫৮ তম বর্ষে। সংঘতীর্থের পুজো ট্র্যাডিশনাল বা সনাতনী পুজো হিসেবেই বিখ্যাত ছিল উত্তর কলকাতাবাসীর কাছে। তবে সেই ধরা বাঁধা ছক থেকে গত কয়েক বছরে একটু বেরিয়ে এসেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। ফলে ২০২৩-এও থিমের পুজো-ই হচ্ছে সংঘতীর্থে। এবারের পুজোর পরিকল্পনা করছেন শঙ্কর পাল। আর প্রতিমা তৈরি করছেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী সোমেন পাল।  আবহ সংঙ্গীতে রয়েছেন সৈকত দে।

সংঘতীর্থের পুজো যে মাঠে হয় তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মোহনবাগান ফুটবল ক্লাবের নামও। কারণ, একসময় মোহনবাগানের প্র্যাকটিসের জন্য এটাই ছিল তাঁদের দ্বিতীয় মাঠ। এখনও এই মাঠে  এলে দেখা যাবে অমর একাদশের স্মৃতিফলক। আর একটা কথা বলতে ভুলেই যাচ্ছিলাম। রবিবারে শুধু খুঁটিপুজো দিয়েই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হচ্ছ সংঘতীর্থের তা নয়। এদিন ক্লাবের তরফ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে একটি ডেন্টাল ক্যাম্পের। দায়িত্বে কুসুম দেবী সুন্দেরলাল জৈন ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল। পুজোর শুরুেতই একটা বৈচিত্রের আঁচ মিলছে সংঘতীর্থের পুজোয়। এখন ইংরেজতি একাট আপ্তবাক্য আছে, ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। ফলে উত্তর কলকাতাবাসী আশায় বুক বাঁধছেন, সংঘতীর্থের পুজো যে সব পুজো থেকে অনেকটাই আলাদা তা এবারও নিশ্চিত ভাবেই বোঝাবেন সংঘতীর্থের সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − four =