রথযাত্রা ২০২৫–এর শুভক্ষণটি ভক্তি, মনোমুগ্ধকর নানা আচার–অনুষ্ঠান, ও রঙিন সাংস্কৃতিক উৎসবের সঙ্গে উদযাপন করল খিদিরপুর জগন্নাথ মন্দির। ২৭ জুন রথযাত্রার পুণ্যলগ্নে এক রঙিন ও ভক্তিময় রোড শোর মধ্য দিয়ে শুরু হল এই উদযাপন। এই শোভাযাত্রা খিদিরপুরের জগন্নাথ মন্দির থেকে শুরু হয়ে ভবানীপুরের নর্দান পার্ক পর্যন্ত হয়। আর এখানেই শ্রী জগন্নাথ দেব তাঁর ভাই বলরাম এবং সুভদ্রার সঙ্গে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত অধিষ্ঠান করবেন। এদিনের এই শোভাযাত্রার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী ছেঁড়া–পাহানরার অনুষ্ঠান, যা শ্রদ্ধাভরে সম্পাদন করেন বিএমডব্লিউ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান রাম গোপাল বংশাল। এই প্রাচীন রীতিটি নম্রতা ও ঈশ্বরের সেবার প্রতীক।
এছাড়াও এই বর্ণময় শোভাযাত্রার সঙ্গে ছিল ভক্তিময় কীর্তন মণ্ডলীর সঙ্গীত এবং ঝংকার ঘণ্টা–শঙ্খ বাদনের তাল, যা পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (ইজিসিসি) কর্তৃক স্পনসর করা একটি দল পরিবেশন করেছিল এবং এটির পৃষ্ঠপোষক ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। এই সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক তাৎপর্যকে প্রাণদান করে, ফলে এটি প্রতিটি ভক্ত ও দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, রথযাত্রা, হিন্দুধর্মের অন্যতম শ্রদ্ধেয় উৎসব, যেটি প্রভু জগন্নাথের তাঁর মাসির বাড়িতে বার্ষিক যাত্রাকে স্মরণ করে। এর পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ঐশ্বরিক প্রেম। এটি আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতীকও বটে। এই আনন্দময় উৎসব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে গভীর অঙ্গীকারকেই প্রতিফলিত করে। এই অনুষ্ঠানে শহর ও তার বাইরে থেকে অসংখ্য ভক্ত ও অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যা কলকাতার সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করল।