কানাডা যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পর্যটকদের নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতায়। এরপর সেখানেই করা হয় হোটেলের ব্যবস্থা। এরপর নিখোঁজ হয়ে যান পাঁচজন। এরপর চাওয়া হয় টাকাও। ফলে এই পাঁচজন নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় অপহরণের তত্ত্বই খাড়া হয়। শেষমেশ গুজরাতের এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয় সকলকে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু‘জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ।
সূত্রে খবর, গুজরাতের এক ব্যক্তি ও তাঁর প্রতিবেশিরা ২৩ জুন কানাডা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ‘অ্যাব্রড ড্রিমস ইমিগ্রেশন‘ নামের এক ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জোগাড় করতে কলকাতায় আসেন। প্রথমে তাঁদের রাখা হয় শহরের বিমানবন্দর সংলগ্ন এক হোটেলে। পরে হোটেল বদলে পাঠানো হয় রবীন্দ্র সরোবর থানার অন্তর্গত অন্য একটি হোটেলে।সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ৩ জুলাই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান অভিযোগকারীর প্রতিবেশী ও তাঁদের পরিবারের পাঁচ সদস্য।
এরপর ঘটনাটি পুলিশে জানানো হলে নিখোঁজদের খোঁজে তদন্তে নামে দক্ষিণ–পূর্ব ডিভিশনের পুলিশ আধিকারিকেরা। রবীন্দ্র সরোবর থানার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয় হোটেলটি ও সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। টানা নজরদারি ও অনুসন্ধানে গত ৯ জুলাই পাঁচজন নিখোঁজকে উদ্ধার করে পুলিশ।এদিকে এর পাশাপাশি তদন্তে উঠে আসে অপহরণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগও। এরপর পুলিশ গ্রেফতার করে হোটেল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি ও ট্রাভেল সংস্থার এক কর্মীকে। ঘটনার নেপথ্যে আরও বড় কোনও চক্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ট্রাভেল এজেন্সির নামে প্রতারণার ছক অনেক আগে থেকেই চলছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা দেখছে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে কলকাতাপুলিশের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে এক সতর্কবার্তাও। লালবাজারের তরফ থেকে আমজনতাকে সচেতন করতে জানানো হয়েছে, বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোনও এজেন্সির প্রলোভনে পা দেওয়ার আগে ভাল করে যাচাই করা প্রয়োজন।অন্যথায় প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর।