মহিলাদের সুরক্ষা জোরদার করার লক্ষ্যে কিরণ বেদি উদ্বোধন করলেন এভারেডির সুরক্ষা অ্যালার্মযুক্ত সাইরেন টর্চের

Featured Video Play Icon

ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যাটারি ব্র্যান্ড এবং শক্তি, দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতার সমার্থক এভারেডি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ভারতের প্রথম মহিলা আইপিএস অফিসার ডঃ কিরণ বেদির সঙ্গে মিলে প্রকাশ করল সর্বপ্রথম সুরক্ষা অ্যালার্মযুক্ত ফ্ল্যাশলাইট – এভারেডি সাইরেন টর্চ। বাজারের ছক ভেঙে দেওয়া এভারেডির সাইরেন টর্চ এমনই এক প্রোডাক্ট যা নিয়ে এল ভারতীয় বাজারে এক বিপ্লব।  এই টর্চ ফ্ল্যাশ করার সময়ে এর সঙ্গে যুক্ত কি চেন টানলেই শক্তিশালী 100dbA সুরক্ষা অ্যালার্ম বাজাতে পারে। এর ফলে ব্যবহারকারী আশপাশ দিয়ে যাওয়া লোকেদের নিজের বিপদ জানান দিতে পারবেন এবং সাহায্যও চাইতে পারবেন।

এই নতুন সাইরেন টর্চ সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করার জন্য এভারেডি #AwaazUthaneyKaPower ক্যাম্পেন চালাচ্ছে। এই ক্যাম্পেনে সামিল হচ্ছেন বধির এবং কথা বলায় প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন মহিলারা। এই ক্যাম্পেনের লক্ষ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার উপায় জুগিয়ে মহিলাদের এবং সামগ্রিকভাবে সকলের ক্ষমতায়ন, যাতে তাঁরা নিজের সুরক্ষার দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিতে উৎসাহিত হন।

#AwaazUthaneyKaPower ক্যাম্পেনের জন্য এভারেডি ইন্ডিয়া সাইনিং হ্যান্ডস-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। এই সংগঠনের লক্ষ্য ভারতের বধির মানুষেরা বিভিন্ন জিনিসের নাগাল পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হন সেগুলোর সমাধান করা। মহিলাদের সুরক্ষা ঘিরে যে নৈঃশব্দ্য রয়েছে তা দূর করতে এই ক্যাম্পেন ওগিলভি ইন্ডিয়া-র তৈরি এক শক্তিশালী ফিল্মের মাধ্যমে শব্দহীন যোগাযোগের বধির করে দেওয়ার মত শক্তিকে তুলে ধরেছে। এই ফিল্মে বধির এবং কথা বলায় প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন মহিলাদের একলা, বিভিন্ন জায়গায়, সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে তাঁদের ভয়ানক অভিজ্ঞতাগুলোর বিবরণ দিতে দেখা যাচ্ছে। তাঁরা মনে করাচ্ছেন যে অনেকসময় তাঁরা বিপদে পড়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন এবং ইভ টিজিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। ১০০ ডেসিবেলের এসওএস অ্যালার্ম বাজিয়ে হেনস্থা রোখা এবং আশপাশ দিয়ে যাওয়ার লোকেদের সজাগ করার মাধ্যমে। এই ফিল্ম অন্যদের নিজের সুরক্ষা নিজে করতে উৎসাহ দেয়। এর বার্তা থেকে জোর পাওয়া যায়, “অব আওয়াজ ম্যায় ভি উঠাউঙ্গি” অর্থাৎ, এবার আমিও গলা তুলব।

এই অনুষ্ঠানে ডঃ কিরণ বেদি, সমাজসেবী এবং প্রথম মহিলা আইপিএস অফিসার, বলেন, ’একজন মহিলার শারীরিক এবং আভ্যন্তরীণ সুরক্ষার অনুভূতি তাকে ক্ষমতা দেয়। এটা তার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। কখনো কখনো সব পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত অনুভব করার জন্য একটা বাইরের যন্ত্র দরকার হয়। সে নিজের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য অসময়ে বাইরে বেরনোই হোক আর বহুদূর যাওয়াই হোক। এভারেডির অনন্য সাইরেন টর্চ মহিলাদের সুরক্ষিত বোধ করার দিকে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এটা সুরক্ষার ব্যাপারে কোনো দ্বিধা বা সন্দেহ না রেখে একটু বেশি এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত করে।’ একইসঙ্গে এও বলেন, ‘আমি #AwaazUthaneyKaPower ক্যাম্পেনকে সমর্থন করতে পেরে গর্বিত এবং আমার এনজিও নবজ্যোতি ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আর ইন্ডিয়া ভিশন ফাউন্ডেশনকে সঙ্গে এই পার্টনারশিপে যুক্ত করার জন্য উদগ্রীব।’

এই প্রসঙ্গে অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড এসবিইউ হেড (ব্যাটারিজ অ্যান্ড ফ্ল্যাশলাইটস), এভারেডি ইন্ডাস্ট্রিজ ইন্ডিয়া লিমিটেড, বলেন, ’এভারেডি অসীম শক্তির অক্লান্ত চ্যাম্পিয়ন। এই মেজাজ আমাদের প্রেরণা দিয়েছে সাইরেন টর্চ ডিজাইন করতে। এটা এমন এক রূপান্তরকারী সমাধান যা স্রেফ কার্যকারিতা ছাড়িয়ে গিয়ে সারা ভারতের মহিলাদের আশা ও ক্ষমতা জোগায়। মহিলাদের সুরক্ষাকে কেন্দ্রে রেখে উৎকর্ষ আর উদ্ভাবনের প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা, তার ফলে এমন এক যুগান্তকারী যন্ত্র তৈরি করা গেছে যে মহিলাদের কণ্ঠস্বর ছাড়াও কোলাহল করার শক্তি দেয়। এর ১০০ ডেসিবেলের এসওএস অ্যালার্ম হেনস্থা আটকাবে এবং আশপাশের লোকেদেরও সতর্ক করে দেবে। আমাদের বিশ্বাস যে এই সাশ্রয়কর, আঁটোসাটো এবং বহু ফিচারে সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট মহিলাদের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। গ্রামীণ ভারতের প্রায়শ নির্জন ক্ষেতখামার থেকে শুরু করে শহুরে ভারতের একা রাত্রি, সর্বত্র মহিলাদের আত্মরক্ষার শক্তি ব্যবহার করতে, আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং নিজের জন্য আর নিজের সমাজের জন্যে আরও সুরক্ষিত জীবন গড়ে তোলার শক্তি দেবে সাইরেন।’

সুকেশ নায়ক, চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসার, ওগিলভি ইন্ডিয়া, জানান, ’কণ্ঠহীনকে কণ্ঠ দেওয়া সোজা কাজ নয়। কিন্তু যখন সুজয় আর তার টিম কণ্ঠহীন অভিনেতাদের দিয়ে ক্যাম্পেনটা করানোর পরিকল্পনা করল, তখন সামনের পথটা অনেক সোজা হয়ে গেল। পর্দায় অভিনেতাদের অনিচ্ছাকৃত নীরবতা রোজ মহিলাদের যেসব খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় তার ভয়ঙ্করতা তুলে ধরতে সাহায্য করেছে। নীরব ইশারার মাধ্যমে এই ফিল্মের চরিত্রেরা টুঁ শব্দ না করে যে মহিলারা লজ্জা, অসম্মান এবং নগ্ন হিংসা সহ্য করেন তাঁদের কথা তুলে ধরেছে। এবার যাঁদের কণ্ঠ নেই তারাও কোলাহল করতে পারবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − ten =