ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপট দেখল কলকাতা। ঝড়ের তুমুল দাপটের সঙ্গে লাগাতার বৃষ্টি। রাতভর এই বৃষ্টিতে শহরে জল যন্ত্রণার ছবিটা স্পষ্ট। জায়গায় জায়গায় জমেছে জল। কোথাও তা গোড়ালি সমান তো কোথাও তা আবার হাঁটু ছুঁয়েছে।এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সোমবারও দিনভর চলবে বৃষ্টি।ফলে দুর্যোগ বাড়বে ছাড়া কমবে না! কলকাতার মধ্যে জমা জলে সবথেকে ভয়ঙ্কর অবস্থা ক্যামাক স্ট্রিটে। সেখানে হাঁটু সমান জল। কোথাও আবার বুক পর্যন্তও পৌঁছেছে জল।
ব্যাপক বৃষ্টিতে জল জমে যায় ব্যারাক গলি, ক্রিস্টোফার রোড, পার্ক সার্কাস, এক্সাইড মোড় এলাকায়। জল জমেছে কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়াতেও। গাছ পড়ার খবর মিলেছে শরৎ বোস রোড, কালীঘাট ও সল্টলেক এলাকা থেকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কলকাতার আলিপুরে।
আলিপুর আবহাওযা দফতর সূত্রে খবর, রবিবার মধ্যরাতে ল্যান্ডফল করে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরপর রাতভর চলে তাণ্ডব। যার জেরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জমে জল। ক্যামাক স্ট্রিট রূপ নেয় সমুদ্রের। যেদিকেই চোখ যাচ্ছে, চারপাশে হাঁটু বা বুক সমান জল। এদিকে ক্যামাক স্ট্রিটে একাধিক বেসরকারি অফিস রয়েছে। সেগুলি সম্পূর্ণ জলমগ্ন। তবে কলকাতা পুরসভার দাবি, সকাল ন’টা থেকে দশটার মধ্যে জল নেমে যাবে। কিন্তু ততক্ষণ এখানকার দোকান ব্যবসায়ী এবং বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা, যারা সকালে অফিসে আসেন, তারা কী করবেন সেটাই চিন্তার। কোমর সমান নোংরা জল পেরিয়ে অফিসে আসাই দুষ্কর!
ক্যামাক স্ট্রিটের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। সেই অফিসের প্রবেশ পথও সম্পূর্ণ জলমগ্ন। এখানেই শেষ নয়, ওই অফিসের ঠিক অদূরেই ঝড়ের দাপটে দু’টি বাতিস্তম্ভ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। বিশাল বড় গাছ ভেঙে পড়েছে একটি অফিসের পাঁচিলের ওপরে। পাঁচিল সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে জলের উপরে। ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়ে রয়েছে গোটা ক্যামাক স্ট্রিট জুড়ে। শুধু ওই এলাকায় নয়, আশপাশের পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল সংলগ্ন এলাকা, বিড়লা তারামণ্ডল সংলগ্ন অংশও সম্পূর্ণ প্লাবিত। এমনকী, কলকাতা পুরসভার পাশেই প্রকাণ্ড গাছ পড়ে গোটা এলাকা অবিরুদ্ধ করে রেখেছে। সকাল থেকেই গাছ সরানোর কাজ শুরু করেছে পুরসভা।