ঘূর্ণিঝড় রিমেলের কারণে পড়ে যাওয়া গাছগুলির যতগুলিকে সম্ভব প্রতিস্থাপনে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা। এই ব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। কারণ, পূর্ণবয়স্ক গাছ বছরে গড়ে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বায়ুশোধনের মূল্য প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে ভূমিক্ষয় রোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় গাছ।
পুরসভার উদ্যান বিভাগ সূত্রে খবর, রিমেলের ধাক্কায় বট, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া মিলিয়ে ৬ ফুটের বেশি উচ্চতার ৩৫০টি গাছ পড়েছে শহরে। এর মধ্যে ২৭০টি গাছ শিকড় সমেত উপড়ে পড়েছে। বাকি গাছগুলি ডালপালা-সহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ২৩টি গাছ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বুধবার আরও ২০টি গাছ প্রতিস্থাপন করা হয়। সেই সঙ্গে যে জায়গাগুলিতে গাছ পড়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন পুরকর্তারা। পুরসভার সহযোগিতায় পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা একটি সংস্থা ইতিমধ্যে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিংয়ের কাছে পড়ে যাওয়া ৩টি গাছ পার্ক সার্কাস ময়দানে প্রতিস্থাপন করেছে। গল্ফগ্রিন, শরৎ বোস রোডে পড়ে যাওয়া ৪টি গাছকেও নতুন জীবন দিয়েছে ওই সংস্থা। ওই গাছগুলিকে বসানো হয়েছে লেক এলাকায়। এর পাশাপাশি রাসবিহারী, বালিগঞ্জ এলাকার ৫টি গাছ প্রতিস্থাপনে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসবী সংস্থা। তবে গাছ পড়ার পর রাস্তায় যান চলাচল শুরুর তাড়ায় প্রশাসন গাছগুলিকে যেখান সেখান থেকে কাটতে শুরু করে। সে কারণেই সব গাছ প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয় না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তবে এর মাঝেও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশবিজ্ঞানীদের বক্তব্য, শুধু প্রতিস্থাপন করলে বা চারা রোপণ করলেই হবে না, রক্ষণাবেক্ষণ যাতে ঠিক ভাবে হয়, সে দিকে নজরদারি খুব জরুরি।