ট্যাংরার বহুতল ভাঙার সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার

বাঘাযতীনের পর এবার ট্যাংরার হেলে পড়া বহুতলটিও ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। বুধবার সকালেই কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রিস্টোফার রোডের ছ তলা ওই বহুতলটির হেলে পড়ার খবর জানা যায়। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কলকাতার পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। এরপর বহুতলটির অবস্থা খতিয়ে দেখে সেটি বসবাসের পক্ষে বিপজ্জনক বলে জানান তাঁরা। এর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিশেষজ্ঞরাও। এরপরই ওই বহুতল অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্রিস্টোফার রোডের ওই বহুতলটির নির্মাণ কাজ বছর দুয়েক আগেই শেষ হয়েছে। এই মুহূর্তে সেখানে ১৩টি পরিবারের বাস। এদিকে কয়েকদিন ধরেই অল্প অল্প করে পাশের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের উপরে হেলে পড়ছিল ওই ছ তলা ওই আবাসনটি। বহুতল হেলে পড়ার খবর পেয়ে বিষয়টি পুরসভাকে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা। এরপরেই ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন পুরসভার আধিকারিকরা। প্রাথমিক পরিদর্শনের পর পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের ধারণা, পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলটিও কিছুটা হেলে রয়েছে। প্রথম বহুতলটি ভেঙে ফেলার পর নির্মীয়মাণ বহুতলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পুর কর্তৃপক্ষ।

ট্যাংরার হেলে পড়া এই বহুতলটির আরও একটি বিষয় দেখে নজরে এসেছে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের। সামনে থেকে বহুতলটি পাঁচ তলা হলেও পিছন দিক থেকে সেটি ছ তলা। পুর কর্তৃপক্ষের নজরদারি এড়াতে ছাদের উপরে পিছন দিকে বেআইনি ভাবে একটি তলা তৈরি করা হয়েছিল বলেই মনে করছেন তাঁরা। আর সেই কারণেই পুরসভার অনুমোদিত প্ল্যানের সঙ্গে বহুতলটির নির্মাণের মিল রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

বহুতলের আবাসিকরা জানিয়েছেন, রজত নামে এক প্রোমোটার ওই বহুতলটি তৈরি করেছেন৷ তাঁর খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ৷ অন্যদিকে, নির্মীয়মাণ বহুতলটি তৈরি করেছন টাকলু নামে স্থানীয় এক প্রোমোটার। কয়েকদিন আগেই একই ভাবে হেলে পড়েছিল বাঘাযতীনের একটি বহুতল৷ সেক্ষেত্রেও বহুতল ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। বাঘাযতীনের ক্ষেত্রে মাথার উপরে ছাদ হারিয়েছিল আটটি পরিবার। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত প্রোমোটারকেও৷ এবার পথে বসার অবস্থা ট্যাংরার ১৩টি পরিবারের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 2 =