আরজি কর সংলগ্ন রাস্তায় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল কলকাতা পুলিশ। শনিবার রাত থেকে আরও সাতদিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। আরজি করে কর্তব্যরত অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল বাংলা। প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন কোনায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে কার্যত প্রত্যেকদিনই বিচারের দাবিতে পথে রাজনীতিবিদ, অভিনেতা থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
তবে গত ১৪ অগাস্ট রাতের ঘটনার প্রেক্ষিতে নিজেদের ভরসার ভিত নড়ে যায় কলকাতা পুলিশের। গত ১৮ অগাস্ট এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রথম লাগু করা হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়, আরজি কর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় কোনও মিটিং মিছিল করা যাবে না। সঙ্গে এও বলা হয়, পাঁচ জনের বেশি কোনও জমায়েতও করা যাবে না আরজি কর হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায়। শনিবার ২৪ অগাস্ট ছিল এই নির্দেশিকার শেষ দিন। এই প্রেক্ষাপটে আরজি কর সংলগ্ন রাস্তায় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল কলকাতা পুলিশ। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সিবিআই ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে বলে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়।
কলকাতা পুলিশের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আরজি কর সংলগ্ন অর্থাৎ শ্যামপুকুর, উল্টোডাঙা ও টালা থানা এলাকার বেলগাছিয়া রোড, জেকে মিত্র ক্রসিং রোড, শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড়ে মিটিং মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা থাকছে। তবে কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিরোধী শিবির থেকে। কারণ, এই প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান বামনেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, মানুষ গর্জে উঠেছে। আন্দোলন করছে। আর তা আটকাতেই এহেন নির্দেশ জারি করা হচ্ছে। কার্যত একই বক্তব্য শোনা গিয়েছিল বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির বক্তব্যেও। কৌস্তভের বক্তব্য, সরকার আন্দোলনে ভয় পেয়েছেন। আন্দোলন গণ আন্দোলন পরিণত হয়েছে। আর তা আটকাতেই এমন নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। যদিও পুলিশের একাংশের দাবি, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতেই এহেন পদক্ষেপ। তবে শুধু বাংলায় নয়, পূর্ব মেদিনীপুরেও স্কুলে পড়ুয়াদের-শিক্ষকদের মিছিল-স্লোগানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।