জন্মের ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে তৈরি পাসপোর্ট বাতিলের আবেদন করা হল কলকাতা পুলিশের তরফে। শুধু আবেদনেই ব্যাপারটা থেমে থাকেনি সরাসরি চিঠিও পাঠানো হল রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসে। এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, ইতিমধ্যে ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে পাসপোর্টের যে আবেদন করা হয়েছিল তার ভেরিফিকেশনের সময় কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের হাতে ধরা পড়ে ছয় আবেদনকারী।
এই ঘটনার জেরেই তদন্তকারীদের আশঙ্কা ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু পাসপোর্ট। এবার সেই সব পাসপোর্ট চিহ্নিত করে বাতিল করারই আবেদন জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। সঙ্গে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, জন্মের ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু শুধু পাঠানখালি নয়,হাওড়ার বাসুদেবপুর, মালদহের মানিকচক এলাকা থেকেও জন্মের ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু হয়েছে। যা ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে পাসপোর্ট। এবার সেগুলো চিহ্নিত করে বাতিল করতে বলা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই পাঠানখালি পঞ্চায়েত থেকে তৈরি সাড়ে তিন হাজার ভুয়ো শংসাপত্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বরও তুলে দেওয়া হয়েছে রিজিওনাল পাসপোর্ট দপ্তরে। যার কোনও রেকর্ড নেই ম্যানুয়াল বুক বা রেজিস্ট্রার খাতায়। সূত্রে খবর এমন ভুয়ো জন্ম শংসাপত্রের ঘটনায় পাঠানখালি পঞ্চায়েত অফিসের পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। সেখানে জন্মের ভুয়ো শংসাপত্র বাতিল করার আবেদন জানানো হবে।