বুধবার দেশজুড়ে ১০ ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে ধর্মঘটে স্বাভাবিক ছন্দে কলকাতা। কলকাতায় যান চলাচল স্বাভাবিক। শহরের রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন। আজ সব সরকারি অফিস খোলা। সরকারি কর্মীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক। ক্যাজুয়াল লিভ ও হাফ ছুটি নেওয়া যাবে না। গুরুতর অসুস্থ–সহ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়।
বুধবার সকাল ৬’টা থেকে খোলা কন্ট্রোল রুম। যে– কোনও সমস্যায় ফোন করা যাবে কন্ট্রোল রুমের নম্বর– ০৩৩–২২৩৬১৯১৬, ০৪৬২,০৪৬৩ এবং ৮৬৯৭৭৩৩৩৯১–এ। কলকাতা ও শহরতলির জন্য সিএসটিসি–র ৫০০, সিটিসি ২০০, ডব্লুবিএসটিসি ৭০ টি বাস–এক–এক শিফটে নামবে। দুই বা তিন শিফট করে বেশিরভাগ বাস চলবে। তাছাড়া ভেসেল চলাচল করবে ২৫টি। চলবে দু’টিট্রামও।
এসবিএসটিসি রামপুরহাট ডিপোতে সকালে সমস্যা হয়েছিল। পরে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। সকালের শিফটে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ দফতরের ৩০০ বাস রাস্তায় নেমেছে। ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি হাওড়ায়।বেলঘরিয়া, দুর্গাপুর রেলস্টেশনে ট্রেন আটকানোর চেষ্টা করেন বন্ধ সমর্থকেরা। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার পর সাময়িক ভাবে ব্যাহত হয় শিয়ালদহ মেন শাখার ট্রেন চলাচল। শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায় যাদবপুর স্টেশনেও ধর্মঘটীরা ট্রেন আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। ধর্মঘটে ডোমজুড়ে লাঠিচার্জ। জোর করে পথ অবরোধের চেষ্টা! পুলিশ–ধর্মঘট সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাঁধে। সামাল দিতে লাঠিচার্জ পুলিশের।