শহর কলকাতাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং আরও উন্নত করতে একজোট হলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ। তাঁদের মধ্যে কেউ স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, কেউ সমাজকর্মী, কেউ আবার উদ্যোগপতি। তাঁরা মূলত পুরসভার স্কুলগুলিকে দত্তক নিতে চান, বা পুরসভার দ্বারা নির্ধারিত জায়গায় বৃক্ষরোপণ করতে চান। কেউ আবার চান শৌচালয় নির্মাণ করতে বা স্কুলগুলিতে সাজিতে তুলতে। কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে এই প্রক্লপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলকাতা উইকেয়ার’। কলকাতা উইকেয়ার প্রকল্পটি মূলত পুরসভাকে সহায়তা করতে এবং নাগরিক এবং পুরসভার মধ্যে ব্যবধান দূর করতে চায়। এই বিষয় ফেসেস-এর সভাপতি ইমরান জাকি বলেন, ‘আমরা কলকাতার প্রতি যত্নবান এবং আমাদের শহরের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে, আমরা এর উন্নতির জন্য কাজ করতে চাই। আমরা পুরসভাকে সাহায্য করতে চাই এবং তাদের ও নাগরিকদের মধ্যে ব্যবধান কমাতে চাই।’ গত মাসে পুরসভার সঙ্গে সংস্থার সদস্যদের একটি বৈঠকও হয়।
এই বৈঠকের পর কলকাতা পুরসভা এবং ফেসেস-এর সদস্যদের ধারনা, এই ধরনের উদ্যোগে আদতে উপকৃত হবেন শহরবাসীই। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার এক ঊর্ধ্বতন কর্তা বলেন, ‘তাঁদের উদ্দেশ্য ভাল। তাঁরা যদি আমাদের কাছে কিছু চান, তাহলে তাঁদের আমাদের কাছে একটি প্ল্যান জমা দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নগরিকরা যা চান, কলকাতা পুরসভাও তাই চায়। তাই তাঁরা যদি কিছু করতে চান, তাহলে তা ভাল।’ একইসঙ্গে শহরে একটি অভিজাত স্কুলের এক শিক্ষিকা জানান, ‘এটি আমাদের শহর এবং এর উন্নয়নে অংশগ্রহণ করা আমাদের কর্তব্য।’ আরও একটি স্কুলের এক শিক্ষিকা জানান, ‘আমরা স্কুলের অ্যাপ্রোচ রোডে গাছ লাগাতে পারি এবং সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারি। যদি একটি স্কুল এটি করে তবে অন্যরাও তা অনুসরণ করবে।’
প্রসঙ্গত, বিগত বছরগুলিতে শহর কলকাতায় লাগাতার সৌন্দর্যায়নের কাজ চালিয়েছে পুরসভা। নাগরিকদের সুবিধার্থে করা হচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ। যে কোনও দুর্যোগ থেকে উৎসব, সবসময়ই শহরবাসীর পাশে রয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। আর সেই কাজই আরও খানিকটা গতি পাবে এই সংস্থার উদ্যোগে। এক্ষেত্রে পুরসভার পাশাপাশি এই সংস্থার মাধ্যমে বেশ কিছু পরিষেবা পাবেন কলকতার বাসিন্দারা। এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষা ও সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে আরও কাজ হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এখন দেখার নির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে শহরবাসীকে আরও কতটা সুবিধা দিতে পারে এই সংস্থা।