কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয়নি। এমনটাই জানা যাচ্ছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। তবে রিপোর্টের কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য় বাইরে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করছেন, অ্যাসিডে নয়, তরুণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হতে পারে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘অ্যান্টিমর্টম বার্ন পাওয়া গিয়েছে। এখনও বেশ কিছু তদন্তের কাজ বাকি রয়েছে। অ্যাসিড নয়, যা পেয়েছি অ্যান্টিমর্টম বার্নই পেয়েছি।আগুনে পোড়ানো হয়েছে। অ্যাসিডের কোনও অ্যাভিডেন্স আমরা পায়নি।’ তবে শরীর থেকে কোনওরকমের ফ্লুইড পাওয়া গিয়েছে কিনা, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগুনে পুড়ে গেলে শরীর থেকে অনেক রকমের ফ্লুইড এমনিতেই বের হয়। তবে নির্যাতিতার পরিবারে প্রথম থেকে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল (জেএনএম) হাসপাতালে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ‘নির্যাতিতা’র দেহের ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখতে পারছেন না নির্যাতিতার মা। ইতিমধ্যেই সিবিআই চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার মা।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক ‘কমন ফ্রেন্ড’কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তে আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে। ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। তরুণীর প্রেমিক হোটেলে কাজ পেয়ে বেঙ্গালুরুতে চলে যান। বাড়িতে না জানিয়ে দিন পনেরোর জন্য তরুণী প্রেমিকের কাছেও চলে গিয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সম্পর্কে টানাপোড়েন নাকি টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।