বিচারপতি পদ ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে এসেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগও দিয়েছেন। বিজেপি-তে যোগদানের পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেমন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে একহাত নিতে গিয়ে তৃণমূলের তাবড় নেতাদের একাংশকে দুষলেও কুণাল সম্পর্কে কিন্তু তাঁর ছিল নরম। পাল্টা তার যথাযথ উত্তরও দেয় ঘাসফুল শিবির। এদিকে আবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও বিজেপির অন্দরের খবর, তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হবেন অভিজিৎবাবু। এমনই এক প্রেক্ষিতে এক বিস্ফোরক দাবি করতে শোনা গেল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে। তাঁকে তাঁর দল ও দলের নেতাই হারিয়ে দেবে বলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে অনুরোধ করলেন ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর। পাশাপাশি নির্দিষ্ট করে কারও কারও সম্পর্কে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বার্তাও দিতে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘অভিজিৎবাবু হাতে এখনও সময় আছে। ওদের বলে দিন তমলুকে প্রার্থী হবেন না। কারণ সেখানে তৃণমূল জিতবে। কারণ দু’মাস পর আপনার সম্মান নষ্ট হবে।”যে আপনাকে তমলুক নিয়ে যাচ্ছে, সেও আপনাকে হারাবে। তার দলে অন্য বড় নাম সে সহ্য করতে পারে না, বাড়তে দেবে না। এখনও সময় আছে, আপনি নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে থাকুন। পরাজয়ের দিনটি দেখা বড় কঠিন। শুভানুধ্যায়ী হিসেবে ভাবতে বললাম।’
প্রসঙ্গত, তমলুক থেকেই তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। সিপিআইএম ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ঘোষণা না হলেও তমলুকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দেওয়াল লিখন চলছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। ইতিমধ্যেই তমলুকে গিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা সেরে এসেছেন অভিজিৎবাবু। তাঁর সঙ্গে আগাগোড়া ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে বিজেপি এরাজ্যে প্রথম পর্বে ২০ কেন্দ্রে তাঁদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। বাকি কেন্দ্রগুলিতে শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেবে গেরুয়া শিবির। তার আগে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি এমন বার্তা দিয়ে কুণাল ঘোষের এমন পোস্ট রাজ্য বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।