সন্দেশখালিতে ইস্যুতে এবার কেন্দ্রকে বিঁধলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি সন্দেশখালি প্রসঙ্গে জানান, ‘জমি নন পেমেন্ট ইস্যুর অভিযোগ পেয়েছি। বাকিটা সিপিআইএম- বিজেপি ইস্যু জিইয়ে রাখতে চাইছে। তবে মানুষ শান্ত হয়ে আছেন। সেখানে অতি নাটকীয় ক্রিয়াকলাপ করার চেষ্টা করছে। ধর্ষণ সব সাজানো।’ এরই পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘অর্গানাইজ করে বিরোধীরা এটা করছে । আমাদের সংগঠন দুর্বল। পুরোনো বাম করেন কিছু লোক বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। জমি উদ্ধারের নাম করে সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে ।’
এরই পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ ,জানান ,’সহিষ্ণুতা দেখানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। ডিজি গেছেন। শান্ত করার চেষ্টা করছেন।’ এদিকে এই ইস্যুতেও ফের একবার বিজেপির দিকে তোপ দাগেন তিনি.। বলেন, ‘খবর আছে দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে যতদিন না প্রধানমন্ত্রী আসছেন সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখতে হবে। এই সফর রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।’ সন্দেশখালি বিষয়ে কুণালে স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আইনের বিষয়।অভিযোগ থাকলে তদন্ত হবে। মাননীয় ডিজির বক্তব্য শুনেছি। ব্যাখ্যা দিয়েছেন।’
এদিকে শুক্রবার বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও এদিন মুখ খুলতে দেখা যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তাঁর সরাসরি প্রশ্ন, ‘কোথায় ছিলেন উন্নাও, হাথরাসের সময়? মণিপুরে র সময়?’ তাঁর মতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বকলমে জাতীয় বিজেপি রক্ষা কমিশন। তিনি বলেন ,‘উন্নাও যায় না। মনিপুর জ্বলছে খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে আসে কারণ বিজেপির সংগঠনের উপর ভরসা নেই।’ এরই পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচণের বিজেপির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র। বলেন, ‘বিজেপি ১০০ পেরোতে পারবে না। তাই পশ্চিমবঙ্গে আসছে সমস্যা তৈরি করতে। আগে রাজ্যের বকেয়া দিন। ২০২১ সালেও এসেছিলেন। কি হয়েছে?’ এরই পাশাপাশি কটাক্ষের সুরে জানান, ‘নির্বাচনী পরাজয়ের অভিযান শুরু করছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে। মানুষ উত্তর চাইবে কেন পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে। কেন সারের দাম বাড়ছে।’ সঙ্গে সংযোজন, ‘কাউকে বারাসাতে আনতে পারেন।সিপিএম বা বিজেপি দলের কাউকে সাজিয়ে মঞ্চে নাটক করতে আনতেই পারেন। বিজেপি গন্ডগোল করছে। মানুষ শান্ত হতে চাইলেও দেওয়া যাবে না। দিল্লিতে কৃষকদের ঠেকাতে এতদিন ধরে ১৪৪ ধারা চলছে কিছু কথা নেই।’