অর্ণব দামের পাশে এবার কুণাল ঘোষ। এর আগে কুণাল ঘোষ নিজেই জানিয়েছিলেন, মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রমের পিএইচডিতে ভর্তি হওয়া নিয়ে কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এবার কথা বললেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ফোনে বর্ধমানের উপাচার্য গৌতম চন্দের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল ঘোষ। অর্ণব দামের ভর্তির জন্য অনুরোধ জানান কুণাল। সূত্রের খবর, কুণাল উপাচার্যকে এও জানান, সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সমস্ত ব্যবস্থা করতে রাজি। ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন গৌতম চন্দকে। হতে পারে সোমবারই ভর্তির ব্যবস্থা হতে পারে এক সময় কিষেণজীর অত্যন্ত স্নেহভাজন হিসাবে পরিচিত মাওবাদী নেতা অর্ণবের।
প্রসঙ্গত, মাওবাদী নেতা অর্ণব দামের পিএইচডি করা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ইন্দিরা গান্ধি ওপেন ইউনিভার্সিটি বা ইগনু থেকে ইতিহাসে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন অর্ণব। এরপরই সংশোধনাগারে বন্দি অবস্থাতেই পিএইচডি করার প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেন। ২৫০ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মেধাতালিকায় শীর্ষে অর্ণবের নাম। আর তাঁর নাম শীর্ষে আসার পরই তৈরি হন জটিলতা। কাউন্সেলিংয়ের আগের দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, আপাতত এই পর্ব স্থগিত রাখা হচ্ছে। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। উপাচার্যের বক্তব্য, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ মাসের একটা কোর্স ওয়ার্ক হয়। সেটা অফলাইনে হয়। সেক্ষেত্রে হুগলি সংশোধনাগারের ছাত্র, মেধা তালিকায় যার নাম প্রথমে তিনি কীভাবে যাতায়াত করবেন সে বিষয়ে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে। তাই কাউন্সেলিং স্থগিত রাখা হয়েছে। ফলে শুধু তিনিই নন, এই পরীক্ষায় কৃতকার্য কেউই ভর্তি হতে পারছেন না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় এই ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্থগিত করে দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, এক সময় খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারকের ছেলে অর্ণব দাম। পরে আচমকাই একদিন উধাও হয়ে যান। এরপর জানা যায় মাওবাদীদের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হন তিনি। আপাতত তিনি বিচারাধীন বন্দি হিসাবে হুগলি সংশোধনাগারে রয়েছেন।