ফের পার্কিং-বিতর্ক। ফের বিতর্কের আঁচ দেখা দিয়েছে তৃণমূল নেতা তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মধ্যে। তবে এবার ইস্য়ু বিধাননগর পুরনিগম। নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এনকেডিএ অঞ্চলের পার্কিং ফি বিতর্ক। কলকাতা পুরনিগমের মতোই এই পার্কিং ফি প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই টুইটকে সামনে রেখে নতুন করে জল্পনা, তাহলে কি আবার ফিরহাদ-কুণাল তরজার পরিস্থিতি তৈরি হল। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল, কলকাতা পুর এলাকায় পার্কিং ফি নিয়ে। কারণ, এনকেডিএ আদতে ফিরহাদ হাকিমের দপ্তর।
কুণাল বৃহস্পতিবার একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘এনকেডিএ বাজার চত্বরে এই ‘ট্রাফিক ফাইন’ সংক্রান্ত বিষয় জানতেন না মুখ্যমন্ত্রী।‘ টুইটারে কুণাল এ লেখেন, ‘নিউটাউনের বাজারে ট্রাফিক ফাইন ৫০০ টাকা যেটি এনকেডিএ চালু করেছিল, তা আপত্তিকর, বিভ্রান্তিকর ও জনবিরোধী। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর বা মুখ্যমন্ত্রীর অফিসিয়ালরা এটি জানতেন না। মানুষের হয়রানির কথা জানতে পেরেই তাঁর নির্দেশ, এই ফাইনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও বাতিল হল। পুলিশকেও জানানো হয়েছে।’ এদিকে এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘এই ফি চালু করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। এ ব্যাপারে এনকেডিএ-র কোনও সম্পর্ক নেই।‘ এরই রেশ ধরে ফিরহাদ এও জানান, ‘চালান যে কেটেছে, ওটা ট্রাফিক পুলিশ কেটেছে। এনকেডিএ কাটেনি। মুখ্যমন্ত্রীকে আমি জানিয়েছি।‘
তবে প্রশ্ন উঠছে, এনকেডিএর সঙ্গে এই ফি-র কোনও সম্পর্ক না থাকলেও কুণাল কেন তাঁর টুইটে এনকেডিএর নাম উল্লেখ করলেন তা নিয়ে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কলকাতা পুরনিগমের বর্ধিত পার্কিং ফি নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কুণাল ঘোষের একটা রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, ‘পার্কিং ফি বাড়ানো সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী চান না সাধারণ মানুষের উপর কোনও বোঝা বাড়ুক। কলকাতার মেয়রকে এই ফি প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।‘ এরপরেই বর্ধিত পার্কিং ফি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। যদিও প্রকাশ্যেই অভিমান প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি বলেছিলেন, ‘এই কথা সংবাদমাধ্যমে বলা ঠিক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিলে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এই বর্ধিত পার্কিং মূল্য।‘ অর্থাৎ এটা স্পষ্ট ছিল যে, সেই চাপানউতোর ঘিরে কার্যত এক অস্বস্তির আবহ তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের অন্দরে। এবারও যেন সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হল এনকেডিএ ঘিরে। এ প্রসঙ্গে এনকেডিএর চেয়ারম্য়ান দেবাশিস সেনের অবশ্য বক্তব্য, ‘এটা এনকেডিএর ব্যাপার নয়, এটা ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপার।‘