পঞ্চায়েতে আশান্তির ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে আঙুল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের

শনিবার সকাল থেকেই রক্তাক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন। একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনায় তিনজন তৃণমূল কর্মী নিহত হয়েছেন বলে খবর। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও করতে দেখা যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। বলেন, ‘ছোট বড় সব চ্যানেল মিলিয়ে ছোটবড় গোলমালের খবর এখনও পর্যন্ত ৪৩ বুথে। বাকি ৬১ হাজার বুথ পুরো শান্তিতে ভোট চলছে। মিডিয়ার একাংশের আতঙ্ক বিপণনে প্রভাবিত হবেন না।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘মেরুদণ্ডহীন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভূমিকা একেবারেই হতাশাজনক। নিরপরাধ লোকেরা এই নৃশংস হামলার শিকার হওয়ার কারণ,কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই নির্বিকার আচরণ। যা নির্বাচনী নৈতিকতার প্রতি এই স্পষ্ট অবজ্ঞা একটি ভয়ঙ্কর বিশ্বাসঘাতকতা।‘

এদিকে নদিয়ার হাঁসখালিতে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘নদিয়ার হাঁসখালি-২ ব্লকে সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গুন্ডাদের দ্বারা জঘন্য হামলার আমি তীব্র নিন্দা জানাই। বিজেপি যে নিরলস সহিংসতা চালাচ্ছে তা আমাদের গণতন্ত্রের উপর এক নির্লজ্জ এবং ভয়ঙ্কর আক্রমণ। প্রার্থীদের বাড়িঘর ভাঙচুরের নির্লজ্জ কর্মকাণ্ড নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।’ অন্যদিকে নদিয়ার চাপড়ায় এক তৃণমূল কর্মী পঞ্চায়েতের বলি হয়েছেন বলে খবর। নদিয়ার চাপড়ায় কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে নিহত এক। মৃত যুবক তৃণমূল কর্মী বলে খবর। এলাকায় তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

এছাড়াও নদিয়া জেলা জুড়ে একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই। কালীগঞ্জ ব্লকের বড়চাঁদঘর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাদঘর আদর্শ বিদ্যাপীঠ ৪৬, ৪৭ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে তালা নদীয়ার চাপড়ার বড় আন্দুলিয়া হাই চাপড়ার বড় আন্দুলিয়া হাই স্কুলের ১০০ নম্বর বুথে ছাপ্পা মারার অভিযোগ ওঠে।

শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই একাধিক জেলায় অশান্তির ঘটনা উঠে আসে। মুর্শিদাবাদের রানিনগর থেকে শুরু করে ভাঙড়, বারাসত থেকে শুরু করে কোচবিহারের দিনহাটা একাধিক জায়গায় ছাপ্পা, ব্যালট লুঠ, ভোট কর্মীদের মারধর, আগুন ধরিয়ে দেওয়া সহ একাধিক অশান্তির খবর ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন সংগঠিত করার কথা হলেও একাধিক অশান্তির ঘটনায় জনসাধারণের সুরক্ষার বিষয়টি প্রশ্ন চিহ্ন ওঠে। প্রশ্ন উঠেই গেল তাহলে কি অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয় এই বাংলায়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + 10 =