সন্দেশখালির ঘটনায় আহ ইডির ৩ আধিকারিকের মধ্যে ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রাজকুমার রামের বিরুদ্ধেই এফআইআর রয়েছে সিবিআই-এর, সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একই সঙ্গে সেই সিবিআই কাছে যাঁর নামে এফআইআর রয়েছে, তাঁকে কী করে তদন্তে পাঠানো হয় সে প্রশ্নও এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তোলেন কুণাল।
এরই রেশ ধরে তৃণমূল নেতা কুণাল এও জানান, ‘সেদিনে ঘটনায় যে অশান্তি হল তা আদতে বিজেপির প্ররোচনার পরিণাম। একইসঙ্গে এও জানান, আমার চাই না ইডির কেউ আহত হন, আমরা তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। সঙ্গে কটাক্ষের সুরে এও জানান, ইডির যে আধিকারিককে ঘিরে বিজেপির এত কুম্ভিরাশ্রু রাজকুমার রাম, সেই রাজকুমার রামের বিরুদ্ধেই তো সিবিআই তদন্ত চলছে। ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রাজকুমার রাম, যিনি নাকি তৃণমূলের কোনও নেতার দুর্নীতি ধরতে সাতসকালে বাড়ি গিয়ে বাঁস দিয়ে তালা ভাঙছিলেন, এখন দেখা যাচ্ছে রাজকুমার রামের বিরুদ্ধেই সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের যে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই তাও এদিন জানান কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, ‘আইপিসি ১০৯, ১২০বি-এর পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে রাজকুমার রামকে। আর এখানেই কুণালের প্রশ্ন, তাহলে তৃণমূলের বাড়িতে রেইড করতে যাচ্ছেনএমন এক ইডির অফিসার যাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। কে দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর করেছে? সিবিআই। এটা কী করে সম্ভব?
এদিন সেই এফআইআর-এর প্রতিলিপিও সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতা দাবি করেন, ‘২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিজের নামে বা নিজের পরিবারের নামে যত সম্পত্তি এই রাজকুমার রাম তৈরি করেছেন, তার সঙ্গে তাঁর আয়ের অসঙ্গতি রয়েছে। এটা তো বিচিত্র ওয়াশিং মেশিন।’
এরই পাশাপাসি কুণাল রীতিমতো কটাক্ষ করেন ‘সিবিআই-এর এফআইআর-এ নাম নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও। প্রশ্ন তোলেন, শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা নিয়েও। সঙ্গে কুণালের সংযোজন ‘আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি, কেন্দ্র আগে জবাব দিক, ইডি আগে জবাব দিক, সিবিআই-এর এফআইএর-এ নাম থাকা একজন অফিসার কী করে তদন্তের কাজে যুক্ত থাকতে পারেন? এটা আগে ইডিকে পরিষ্কার করতে হবে যে এই রাজকুমার রাম কি সেই রাজকুমার রাম, যাঁর নামে সিবিআই তদন্ত করছে। যদি হয়ে থাকে থাকে, তাহলে তিনি কী ভাবে তদন্তের কাজ করছেন?’