তদন্তে সহযোগিতা করছেন না কলসেন্টার প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা কুণাল গুপ্তা। ১০ দিনের ইডি হেফাজতের শেষে শুক্রবার ফের আদালতে পেশ করা হয় কলসেন্টার কিংপিন কুণাল গুপ্তাকে। আদালতে সওয়াল জবাবের সময়ে ইডি জানায়, কুণাল তদন্তে সহযোগিতা করছে না। বিদেশে কোথায় কত সম্পত্তি আছে, তার খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র আইনজীবী জানান, ব্রিটেনে কুণালের নামে প্রতারণা মামলা হয়েছে। ভুয়ো কলসেন্টার চালিয়ে কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় খাটিয়েছেন কুণাল। ইডি আদালতে জানায়, রেসকোর্সেও কুণালের ৩৫ টি ঘোড়া রয়েছে।
ইডি-র তদন্তকারীদের ধারনা, কুণালের মাথায় আরও বড় কোনও প্রভাবশালীর হাত থাকতেও পারে। কুণাল মূলত কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল। মূলত বিদেশি নাগরিকদেরই টার্গেট করা হত। টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে তাঁদের ফোন করতেন কুণালের সংস্থার কর্মীরা। তারপর কথা বলার ফাঁকেই ব্যাঙ্ক ডিটেইল নিয়ে নিতেন তাঁরা। আর তারই পর মুহূর্তে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যেত টাকা। তাশুধু তাই নয়, কনভার্ট করে নেওয়া হত ভারতীয় মুদ্রায়। সল্টলেকে এরকম একাধিক ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ মেলে। বিধাননগর ইলেক্ট্রনিক্স থানার পুলিশ এরকম একাধিক ভুয়ো কল সেন্টারে গত কয়েকমাস ধরে তল্লাশি চালিয়েছে।
কুণাল গুপ্তা অনেকদিন ধরেই তদন্তকারীদের র্যাডারে। প্রতারণার অভিযোগে প্রথমে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এর আগে রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুণাল। সিআইডি-র হাত থেকে মামলা যায় ইডি-র হাতে। ইডি-র হাত থেকে বাঁচতেও মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিলেন কুণাল। পাড়ি দেন দুবাইয়েও। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে এনে কুণালকে গ্রেফতার করেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, দুবাইতেও কুণালের বিশাল সম্পত্তি রয়েছে। এদিকে কুণালের মাথায় কোনও প্রভাবশালীর হাত রয়েছে এবার তাঁরই খোঁজ পেতে চাইছে ইডি।