সোমবার সকালে তৃণমূল হাইকম্যান্ড তরফ থেকে শোকজ লেটার পাঠানো হয়েছে কুণাল ঘোষকে। এরপরও স্থিতধি কুণাল। শোকজ লেটার প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘সকালে তাপস দা-র বাড়ি গেলাম, তারপর খিদে পেয়েছিল, খেলাম। তারপর গাড়িতে উঠে গান শুনলাম।’ তৃণমূলের তরফ থেকে যে শোকজ লেটার পাঠানো হয়েছে তা তিনি পড়েছেন কি না জিজ্ঞাসা করা হল প্রত্যুত্তরে জানান, ‘না পড়া হয়নি। গান শুনছিলাম।’ এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির তরফ থেকে তাঁকে শোকজ লেটার পাঠানো হয়েছে। সোমবার তিনি যখন তাপস রায়ের বাড়িতে বসেছিলেন, সেই সময়ই ওই চিঠি তাঁর কাছে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সে সব নিয়ে কোনও উদ্বেগ ধরা পড়েনি কুণালের চোখে-মুখে। বরং শোকজ সংক্রান্ত প্রশ্নে তাঁর মুখে শোনা যায় মহম্মদ রফির গানের দু-এক কলি, ‘ইয়ে মেরা প্রেমপত্র পড় কর কে তুম নারাজ না হো না।’ প্রসঙ্গত, এর আগেও শোকজ নিয়ে যখন জল্পনা ছিল তখনও কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘দলের তরফে শোকজ করা হলে, সেটা প্রেমপত্র হিসেবে গ্রহণ করব।’
সঙ্গে কুণাল এদিন এও বলেন, ‘যাঁরা করেছেন, তাঁরাই কারণ বলতে পারবেন। আমি দলের সম্পর্কে কোনও কথা বলব না। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ শোকজের চিঠিটা হোয়াটসঅ্যাপে এসেছে কি না সেই প্রশ্নের জবারে কুণাল এক ধোঁয়াটে জবাবে জানান, ‘হোয়াটসঅ্যাপ যদি খোলা থাকে, তাহলে অনেক কিছুই আসে।’ সঙ্গে সংযোজন, ‘পড়ব নিশ্চয় সময় হলে। পড়া হয়নি, আমি গান শুনছিলাম। আমার পুরনো বান্ধবীও আজ মেসেজ করেছেন। জানি, কোনও একটা নম্বর থেকে কিছু একটা এসেছে। কোনও টেনশন মাথায় রাখছি না।’ শুধু জানান, দলের একজন কর্মী ও একজন সমর্থক হিসেবে তিনি ভালই আছেন, আরামেই আছেন।