বিদ্রোহের সুর শোনা গিয়েছিল কুণাল ঘোষের গলায়। তবে এটাও বলেছিলেন দলের কাজ তিনি করবেন অন্যানদের মতোই। এবার শনিবার দলের হয়ে মিছিল করতে দেখা গেল কুণাল ঘোষকে। ১০ই মার্চ তৃণমূলের ‘জনগর্জন’ সভা রয়েছে ব্রিগেডে। তার আগে প্রচারে পথে নামেন কুণাল। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রাজাবাজার মোড় থেকে শ্রদ্ধানন্দ পার্ক পর্যন্ত করা হয় এই মিছিল।
প্রসঙ্গত, উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ তথা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুক্রবার তোপ দাগতে দেখা যায় কুণালকে। শুধু তাই -ই নয়, উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগে তিনি সুদীপের চেহারা শাহজাহানের মতো দেখতে বলে কটাক্ষ করেন। কখনও আবার ‘গ্রুপবাজির’ অভিযোগ তোলেন তাঁর বিরুদ্ধে। এরও আগে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ও মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর দলের ডাকা ব্রিগেড সফল করতে তিনি কিন্তু তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মিছিলে পা মেলাতে দেখা গেল কুণালকে।
কুণাল এই মিছিলও আসন্ন জনগর্জন সভা প্রসঙ্গে জানান, ‘কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে ব্রিগেড ডাকা হয়েছে। তাই তৃণমূলের কর্মীরা পথে নেমেছেন যাতে ব্রিগেড সফল করা হয়।’
তবে তাৎপর্যপূর্ণ, যে উত্তর কলকাতার সাংসদের বিরুদ্ধে শুক্রবার তোপ দাগতে দেখা গেল শনিবার সেই উত্তর কলকাতাতেই মিছিল করলেন তিনি। এরপরই তিনি জানান, ‘এত বড় দল। এত বড় পরিবার। কিছু ইস্যু থাকতেই পারে। পরিবারের মধ্যে ইস্যু থাকতেই পারে। তবে যাদের মধ্যে তৃণমূলের রক্ত রয়েছে ১০ তারিখ তারা ব্রিগেড যাবে।’
এদিন উত্তর কলকাতার প্রার্থী বদলেরও দাবি করতে দেখা যায় কুণালকে। কুণালের দাবি, উত্তর কলকাতায় কোনও মহিলাকে প্রার্থী করা হোক। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে শশী পাঁজার নাম। তিনি বলেন, ‘উত্তর কলকাতা কোনওদিন মহিলা সাংসদ পায়নি। উত্তর কলকাতায় মহিলা প্রার্থী দেওয়া হোক। শশী পাঁজা আছেন।’ সঙ্গে এও জানান, তিনি এটা তৃণমূলের কর্মী হিসেবে বলতেই পারেন। আর এই বিতর্কের আবহে কুণালের মুখে শোনা গিয়েছে সুদীপ পত্নী নয়না বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথাও। এই প্রসঙ্গে কুণাল জানান, ‘নয়নাও মহিলা। উনি যদি বিউটি পার্লার সামলে সময় পান উনি দাঁড়াতেই পারেন। সুদীপ যদি এর পরেও টিকিট পান আমি কর্মী হিসেবে প্রচার করব।’