মাওবাদী নেতা অর্ণব দামের পিএইচডি নিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে এবার সরব তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পিএইচডি করতে চান অর্ণব দাম। এখানে আসন সংখ্য়া ৯টি। তার জন্য ২৫০ জন ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। আর সেখানেই তালিকার শীর্ষে নাম ওঠে অর্ণবের। এরপরই অর্ণবকে পিএইচডি করতে দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। পিএইচডিতে ভর্তি পর্যন্ত স্থগিত করে দেয় কর্তৃপক্ষ। আর এরপরই সংশোধনাগারে অনশনের ডাক দেন অর্ণব। দাবি একটাই, তাঁকে পিএইচডি করার সুযোগ দিতে হবে। আর এই প্রসঙ্গেই কুণালের বক্তব্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অকারণে জট তৈরি করছেন। অর্ণব নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি এই সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। এ নিয়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও কারামন্ত্রী অখিল গিরির সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানান। অন্যদিকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সরব হওয়া এপিডিআর-ও এর সমাধান চায়। সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হুগলি জেল সুপারের সঙ্গে আলোচনা করেন এপিডিআরের তিন প্রতিনিধি। পুলিশের খাতায় মাওবাদী হিসাবেই নাম রয়েছে অর্ণব দামের। শিলদাকাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে যাবজ্জীবন হয় তাঁর। হুগলি সংশোধনাগার তাঁর এখনকার ঠিকানা। সেখান থেকেই পিএইচডি করতে চেয়ে আবেদন করেন তিনি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ে পিএইচডির প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসেন এবং মেধাতালিকায় প্রথম নামটিই তাঁর।
অর্ণবকে পিএইচডি করতে দেওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করতে চায় এপিডিআর-ও। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও সোচ্চার হন এক্স হ্যান্ডেলে। কুণাল লেখেন, ‘মাওবাদী অভিযোগে বন্দি অর্ণব দামকে পিএইচডি করতে দিতে হবে। ও যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী ও কারামন্ত্রীর কথা হয়েছে। ওঁরা সহযোগিতা করবেন। অর্ণবকে হুগলি থেকে বর্ধমান জেলে সরানো হবে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ আন্তরিক। তবে উপাচার্য অকারণ জট তৈরি করে বাধা দিচ্ছেন।‘
যদিও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দের দাবি ছিল, ‘আমাদের এখানে ৬ মাসের একটা কোর্স ওয়ার্ক হয়। সেটা অফলাইনে হয়। সেক্ষেত্রে হুগলি সংশোধনাগারের ছাত্র, মেধা তালিকায় যার নাম প্রথমে তিনি কীভাবে যাতায়াত করবেন সে বিষয়ে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে। তাই কাউন্সেলিং স্থগিত রাখি।’