সম্প্রতি লালবাজারে গিয়ে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে শিরদাঁড়া হাতে নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। সে প্রসঙ্গে এদিন কুণাল ঘোষ পাল্টা চিকিৎসকদের ওপরেই চাপ তৈরি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ভগবান না করুন পুলিশের কোনও পরিবারের কেউ শিরদাঁড়া নিয়ে গিয়ে ডাক্তারবাবুদের সামনে দাঁড়ান। আর বলেন এই হাসপাতালে এত বেশি বিল করবেন না, অহেতুক পেসমেকার বসাবেন না। যদি শিরদাঁড়া উপহার দিয়ে বলেন, অকারণে ওমুক ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্ট করাতে বলবেন না। তার বিভিন্ন কারণ আছে।’ এই প্রসঙ্গে কুণালের বক্তব্য, ‘আসলে সকলকে নিয়ে সমাজে চলতে হয়।’
আরজি করে বিনা চিকিৎসায় এক দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। আর তা নিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ভূমিকা ও কর্মবিরতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। এই প্রসঙ্গেই কুণাল জানান, ‘আরজি করে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ২৮ বছরের শ্রীরামপুরের এক যুবকের পায়ের ওপর দিয়ে লরির চাকা চলে যায়। তাঁকে আরজি করে রেফার করা হয়। সেখান সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালে আনা হয়। ৩ ঘণ্টা সেখানে পড়েছিল। তাঁকে ভর্তি করানো হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, মৃত্যু হয়। সরকারি হাসপাতালে আসার পর যদি এইভাবে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম রোগী পড়ে থাকেন, কারণ কয়েকজন ডাক্তারবাবু কর্মবিরতি পালন করছেন, তাহলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
এই প্রসঙ্গেই কুণাল এও বলেন, ‘ডাক্তারবাবুদের ন্যায়বিচারের দাবির সঙ্গে আমরা সহমত। গরিব মানুষের কথা ভেবে কর্মবিরতিটা বন্ধ করুন। দয়া করে রিলে পদ্ধতিতে কর্মবিরতি করুন।’