৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে তরজায় হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির সঙ্গে কুণাল

বাংলায় ৩৫৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৈঠক সদর্থক বলেও জানান তিনি। তবে ৩৫৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ নিয়েপ্রাক্তন বিচারপতির বক্তব্য একেবারেই যুক্তগ্রাহ্য নয় বলেই জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই চরম কটাক্ষও করতে দেখা গেল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে।

প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ৩৫৬ অনুচ্ছেদ মানেই সরকারকে ফেলে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন নয়। কয়েকটি দফতরও কেড়ে নিয়ে চালানো সম্ভব। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এও বলেন, ‘এই সরকারের আর কোনও নৈতিক অধিকার নেই, সরকার চালানো। আমরা ৩৫৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। ৩৫৬ অনুচ্ছেদ মানেই সরকারকে ফেলে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন নয়।’ ঘটনা প্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়ে তিনি বোঝান, ‘সরকারের কাছ থেকে কতগুলো দফতর নিয়ে নেওয়া যায়। যেমন ফিন্যান্স, কারণ গত ২ বছরে এই সরকার অডিটর জেনারেলের রিপোর্ট বিধানসভায় টেবিল করেনি, এটা সংবিধান বিরোধী। পুলিশকে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাচ্ছেন, বিশেষত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তাদের, সেক্ষেত্রে পুলিশ দফতরটা নিয়ে নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষা দফতর, স্বাস্থ্য দফতর তো নিয়ে নেওয়া যায়।’   এই নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করতে এসেছিলেন বলে জানান। তবে অভিজিৎ এটাও স্পষ্ট করেন, ‘তবে এটা বললেই তো করে ফেলা যায় না। এই নিয়ে আরও অনেক কাজ করতে হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, তাঁদেরকেও আহ্বান করব, তাঁরা যাতে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন।’

এদিকে এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ মানে পুরো সরকারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া। এক্ষেত্রে কোনও দফতর আলাদা আলাদা করে করা সম্ভব নয়।

কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তো নব্য বিজেপি। ওঁ জানেন না, হয়তো আইনের বই বেশি পড়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে নতুন। উন্নাও, হথরসের পর কোন বিজেপি শাসিত রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি হয়েছিল?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − six =