লালবাজার অভিযান কিংবা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের মাঝে কোনও মধ্যস্থতা হয়নি। কুণাল ঘোষ মিথ্যা দাবি করছেন। সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট করে দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে কিঞ্জল নন্দ স্পষ্ট ভাষায় এও জানান, ‘এটা একেবারেই মিথ্যা। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনওরকমের কোনও যোগাযোগ করিনি। আমরা যেটুকু করেছি, তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে যে ডিসিশন হয়েছে, সেটাই করেছি। কারও কোনও মধ্যস্থতা এখানে ছিল না। গত আন্দোলনেও ছিল না, আগামীতেও থাকবে না। এটা আমাদের স্ট্যান্ড। এই আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। এই ভাবেই আন্দোলন চলবে।’
প্রসঙ্গত, প্রায় ২২ ঘণ্টা অবস্থানের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে আন্দোলকারী চিকিৎসকরা স্মারকলিপি তুলে দেন। তারপরই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে দাবি করেন, মঙ্গলবার সকালে আন্দোলনকারীদের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের তরফে বলা হয় নির্দিষ্ট কিছু কারণে লালবাজারের ধরনা এগোন ঠিক হবে না। সঙ্গে এও জানান, তাঁরা এও জানিয়েছেন মঙ্গলবার নগরপাল ইস্তফা না দিলে উঠবেন না, এই দাবিতে অনড় থাকবেন না। পরে ইস্তফা দিলেও হবে। মঙ্গলবার শুধু নগরপালের হাতে স্মারকলিপি দিয়ে দেখা করতে চান। তারপর রাজপথ থেকে ধরনা তুলে নেবেন। তিনি দাবি করেন, এক সংবাদমাধ্যমের অফিসেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। মুহূর্তে তাঁর বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েও পড়ে।
তার প্রেক্ষিতেই জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রেস মিট করে স্পষ্ট করে দেন, ‘আন্দোলনের যা মূল সুর, তা অরাজনৈতিক। সংবাদমাধ্যমে যা উঠে এসেছে, তা আন্দোলনের মূল সুরের সমর্থক নয়।’ এই প্রসঙ্গে এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘এক সংবাদমাধ্যমে আমাদের ছবি দেখানো হয় এই বলে যে, আমরা নাকি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হিসাবে মধ্যস্থতা করতে এসেছি। এটা মিথ্যা।’
তাঁর বক্তব্য, ‘বিগত তিন সাড়ে তিন বছর ধরে সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর বাহিনীর দাপটে আমরা যেভাবে অত্যাচারিত হয়েছি, সেটাই আমরা ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলাম। তাঁরাই আমাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন। সেখানে কাকতালীয়ভাবে কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা হয়। আমরা কোনওভাবেই ডব্লিউবিজেডিএফ আন্দোলনকারীদের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে যায়নি। লালবাজার অভিযান ও তার পরিণতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমাদের মধ্যে যে আলাপচারিতা হয়েছে, সেটা বড়জোর ২ থেকে ৩ মিনিট। না জানিয়ে ছবি তোলা হয়েছে। সেটা নিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে।’