চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া একজন মানুষের মৌলিক অধিকার। আর সেই কারণেই স্বাস্থ্য ধর্মঘটের মতো ‘জনবিরোধী ভাবনা’ সমর্থনযোগ্য নয়। এই কারণ দেখিয়েই এবার জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ধর্মঘট প্রত্যাহারের আর্জি জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
শনিবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ জুনিয়র ডাক্তারদের আর্জি জানান, ‘স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ধর্মঘটের মত জনবিরোধী ভাবনা ভাববেন না। সংবিধান অনুযায়ী চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। আন্দোলনকে জনগণের শত্রুর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আগে বারবার ভাবুন।’ আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনীতির যোগ যে রয়েছে তা এদিন আরও একবার উল্লেখ করতে দেখা যায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাছে তাঁর অনুরোধ, ‘শকুনের রাজনীতির প্ররোচনায় আবেগকে বিভ্রান্ত হতে দেবেন না। বাম, অতি বামদের ধ্বংসাত্মক ও নেতিবাচক মানসিকতা দূরে রাখুন।’
উল্লেখ্য, আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা স্থির করতে শুক্রবার সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বৈঠকের পর দেবাশিস জানান, শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করা হবে। রবিবার ধর্মতলার মঞ্চে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। ওই মহাসমাবেশে জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের প্রত্যেককে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। এরপর সোমবার রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হবেন চিকিৎসকরা। সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে। মেনে নিতে হবে দশ দফা দাবি। অন্যথায় মঙ্গলবার সর্বাঙ্গীণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের প্রত্যেক জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা শামিল হবেন। তার ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা থমকে যাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ওইদিন কারও প্রাণহানি হলে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে বলেই দাবি করেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা।