নিয়োগ মামলায় জামিন পেয়েছেন। আর মুক্তি পেয়েই জগন্নাথ দর্শনে যেতে চাইলেন কুন্তল ঘোষ। আদালত সূত্রে খবর, পুরী যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সূত্রের খবর, আদালত তাঁকে অনুমতি দিয়েছে রাজ্যের বাইরে যাওয়ার। তবে রয়েছে শর্ত।
আদালতের তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ, পুরী থাকাকালীন নিয়মিত তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে তাঁকে। ২৪ ঘণ্টা অন্তর ওই অফিসারকে ফোন করতে হবে। আদালতে আসার আগে অবশ্য পুরী যাওয়ার বিষয়টি তিনি তদন্তকারী অফিসারকেও জানিয়েছিলেন। তাই রাজ্যের বাইরে যেতে আপাতত কোনও বাধা নেই কুন্তল ঘোষের। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারপর সিবিআই-ও তাঁকে গ্রেফতার করে।
এরপর প্রথমে ইডি, পরে সিবিআই মামলায় জামিন পান কুন্তল ঘোষ। ইডি-র করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। আর এবার সিবিআই-এর মামলাতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিনের আর্জি মঞ্জুর হয় তাঁর। তবে তদন্ত চলাকালীন কুন্তলের ফ্ল্যাট থেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর নথি হাতে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতেন কুন্তল। মোট ১৯ কোটি টাকা তিনি তুলেছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। এছাড়াও ইডি-সিবিআই উভয়পক্ষের দাবি ছিল, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা আদায়ের অন্যতম মাথা ছিলেন কুন্তল। নিজে চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে তিন কোটি টাকাও তুলেছিলেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে কুন্তল কতটা প্রভাবশালী ছিল তা বোঝাতে এর আগে আদালতে সিবিআই আরও জানায়, অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের চাকরি দিয়েছে পর্ষদ। ইন্টারভিউ হয়েছিল কসবা ডিপিএসসি ক্যাম্পাসে যা আদতে একটি সরকারি অফিস এবং সেই ইন্টারভিউ নিয়েছিল কুন্তল।