সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমক খেতে হয়েছিল কুড়মিদের বেশ কয়েকজনকে। এবার তাঁরাই আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। তবে এই ধমককে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না তাঁরা। আর সেই কারণেই এবার নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বাঁকুড়ার ৩১ জন কুড়মি সম্প্রদায়ের পঞ্চায়েত প্রার্থী। এই ইস্যুতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে শুক্রবার মামলাও দায়ের করা হয়।
আদালতে মামলাকারীদের বক্তব্য, ‘অভিযোগ জানাতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমক খেতে হয়েছিল যার পর থেকে তাঁরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে দফায় দফায় কুড়মিদের বাধার মুখে পড়তে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সিমলাপাল থেকে খাতড়া যাওয়ার সময়ে বনকাটা ও জামদা গ্রামে অভিষেকের কনভয়ের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি কুড়মি আন্দোলনের নেতা কর্মীরা। অভিযোগ, তখনই কুড়মিদের কয়েক জন নেতা কর্মীকে ধমক দিয়েছিলেন অভিষেক। যদিও এই কর্মসূচি কুড়মিদের পূর্ব নির্ধারিত ছিল। বাঁকুড়ায় ‘নবজোয়ার কর্মসূচি’র যাত্রা শুরুর আগেই আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা অভিষেকের যাত্রাপথে নিজেদের দাবির সমর্থনে স্লোগান দেবেন। আর তাঁদের পরিকল্পনা মতো সেটাই তাঁরা করেওছিলেন। এদিকে এবার এইসব নেতা কর্মীদের মধ্যে ৩১ জন পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়ও পাচ্ছেন। আর সেই কারণেই নিরাপত্তা চেয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কুড়মি প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, তফসিলি জাতির স্বীকৃতি আদায়ের দাবিতে বর্তমানে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত কুড়মি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। একই দাবিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের একাংশ। আরেক অংশ ডাক দিয়েছিলেন ভোট বয়কটের।