গত ৫ বছরে কলকাতায় শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটেছে ৩০ বারেরও বেশি। প্রত্যেক বছর ৯ থেকে ১০ জায়গায় পর্যন্ত গুলি চলেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে ৩০টিরও বেশি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যাটি ৩৫-এর কাছাকাছি বলেই দাবি পুলিশের। যদিও প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে যে কেউ আহত হয়েছেন, এমনও নয়। অনেক সময় ভয় দেখানোর জন্যও গুলি চালানো হয়েছে। এর পিছনে দক্ষিণ কলকাতার কসবার সোনা পাপ্পু থেকে শুরু করে কড়েয়া, তিলজলা, এন্টালির দুষ্কৃতীদের নাম উঠে এসেছে। সম্প্রতি পুলিশের সমীক্ষায় সামনে এসেছে এমনই তথ্য।
গত কয়েক বছরে এই শ্যুটআউটগুলোর পিছনে যে গ্যাংস্টার বা দুষ্কৃতীরা রয়েছে, এবার তাদের কার্যকলাপের উপর নতুন করে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফ থেকে। অভিযুক্তদের হাতে কীভাবে অস্ত্র এসে পৌঁছচ্ছে, সেদিকেও প্রত্যেকটি থানা ও গোয়েন্দা বিভাগকে নজরদারির চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে যে তথ্য় মিলেছে তাতে এই বছরই কলকাতায় অন্তত চার জায়গায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত এক মাসে তিন জায়গায় গুলি চলে। যার মধ্যে পার্ক স্ট্রিট এলাকায় গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে ওই এলাকার এক সময়ের ত্রাস গব্বরের ছায়াসঙ্গী মহম্মদ ফাহিমুদ্দিন ওরফে সোনার বিরুদ্ধে। এরপর লেক এলাকার একটি গেস্ট হাউসে গুলি চলে। এক যুবক তার বান্ধবীকে গুলি চালিয়ে আহত করে গুলিতেই আত্মঘাতী হন। এরপর পরই দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ এলাকার একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে এসে গুলি চালায় ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরা। মাত্র কয়েকদিনের ভিতর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বিগ্ন লালবাজারের পুলিশকর্তারা। এরপরই কলকাতার প্রত্যেকটি থানার ওসি, গোয়েন্দা আধিকারিক ও পুলিশকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুলিশ কমিশনার ও পুলিশের শীর্ষকর্তারা। ওই বৈঠকেই লালবাজারের কর্তারা পুলিশ আধিকারিকদের কাছে গত পাঁচ বছরে কলকাতায় কত গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে, সেই ব্যাপারে খতিয়ান চান। পুলিশকর্তাদের জানানো হয় যে, শেষ দুবছরে তুলনামূলক গুলি চালানোর সংখ্যা কম। বছরে তিন থেকে চারটি জায়গায় গুলি চলেছে। যদিও তার আগে তিন বছর কলকাতায় বেশি সংখ্যায় দেখা গেছে এই গুলি চালানোর ঘটনা।