সিভিকদের নিয়ে বড় পদক্ষেপ লালবাজারের

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক সিভিক ভলান্টিয়ার। এতে ভাবমূর্তিতে আঘাত লেগেছে কলকাতা পুলিশেরও। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশ। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে কড়া পদক্ষেপও করতে চলেছে লালবাজার। আর এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের সম্পর্কে তথ্য তলব করল কলকাতা পুলিশের সদর দফতর। লালবাজারের তরফে কলকাতা পুলিশের সব ইউনিটের অধীনে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানত, দুটি নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফে।

সেখানে প্রথমত কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে চারিত্রিক কোনও দোষের অভিযোগ রয়েছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অতীতে সংশ্লিষ্ট সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কোনও কাজের অভিযোগ রয়েছে কিনা, যাচাই করতে বলা হয়েছে।

সিভিক ভলান্টিয়ারদের ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ খোঁজ নিয়ে এনওসি দিতে হবে সংশ্লিষ্ট থানাকে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ লালবাজারের। পাশাপাশি, প্রত্যেক সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম, ঠিকানা-সহ যাবতীয় পরিচয়পত্রের প্রতিলিপি যাচাই করে সেটাও পাঠানোর নির্দেশ। সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজে যোগদান করার পর তাঁর পারফরম্যান্স কেমন, কাজ করতে গিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠেছে কিনা, তিনি কোনও নেশা করেন কিনা, এসবই জানাতে হবে রিপোর্টে। আরজি কর কাণ্ডের জেরেই এই নির্দেশিকা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরজি কর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ধৃত কলকাতা পুলিশের অধীনে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে তার আনাগোনা ছিল বলেই খবর। সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়েছিল। এরপরেই পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। নবান্ন থেকে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসল কলকাতা পুলিশের সদর দফতর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 5 =