গার্ডেনরিচ নির্মীয়মাণ ভবন ভেঙে পড়ার ঘটনায় কলকাতা পুরসভাকে চিঠি লালবাজারের

গার্ডেনরিচের নির্মীয়মান ভবন ভেঙে পড়ার ঘটনায় এবার কলকাতা পুরসভাকে চিঠি পাঠাল লালবাজার। একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হল ভেঙে পড়া বহুতল সম্পর্কে কোনও অভিযোগ পুরসভার কাছে জমা পড়েছিল কিনা তাও। সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি সিইএসসি-কেও চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ।

এদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, লালবাজারের তরফ থেকে কলকাতা পুরনিগমের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, যে নির্মীয়মান বাড়িটি ভেঙে পড়েছিল, তার নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে আগেই কোনও অভিযোগ এসেছিল কিনা। যদি অভিযোগ এসে থাকে, তাহলে কলকাতা পুরনিগমের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল সে ব্যাপারেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই বহুতলে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল কিনা, কিংবা তার অনুমতি গ্রাহ্য করা হয়েছিল কিনা, সেটাও সিইএসসির তরফ থেকে জানতে চাইল তদন্তকারীরা।

কারণ, প্রথম থেকেই এই নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন ছিল। অভিযোগ ছিল, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বাড়িটি তৈরি করা হচ্ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দোতলার ভিতে তৈরি করা হচ্ছিল পাঁচ তলা বাড়ি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ করেন। গ্রেফতার করা হয় প্রোমোটারকে। এলাকাবাসীরাই কাউন্সিলর শামস এমনকি মেয়রের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে থাকেন। অভিযোগ ওঠে, প্রশাসনের মদতেই গার্ডেনরিচ এলাকায় একের পর এক বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। যদিও মেয়রের বক্তব্য, বেআইনি নির্মাণের দায় কাউন্সিলরের নয়। কাউন্সিলরের এটা দেখার বিষয় নয়। বরং পুরকর্তাদের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন তিনি। এবার তাঁর দফতরেই গেল লালবাজারের চিঠি।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার মধ্যরাতে আচমকাই গার্ডেনরিচেন নির্মীয়মান বাড়িটি ভেঙে পড়ে পাশের বস্তিতে। সোমবার সকালেই ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভিতরে যে আরও অনেকে আটকে রয়েছেন, তা নিশ্চিত ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। উদ্ধারকারীরা অনবরত উদ্ধারকার্য চালিয়ে যান। শুক্রবারও গার্ডেনরিচের ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় আরও ১ জনের দেহ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − fourteen =