নিউটাউনে জমি জালিয়াতি। হিডকো ও নগরায়নের জমি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। একাধিক প্রাইম লোকেশনের জমি দেখিয়ে হয়েছে এই প্রতারণা। এই ঘটনায় বিধাননগর কমিশনারেটে অভিযোগ জানাতে চলেছে হিডকো। সূত্রে খবর, নিউটাউনের কিছু প্রাইম লোকেশনে জমি বিক্রি আছে বলে নানা মহলে কিছুদিন আগে খবর আসে। প্রতারক চক্রটি অত্যন্ত সন্তর্পণে প্রচার করে, যেহেতু ‘লোভনীয়’ পজিশনে জমি, তাই প্রকাশ্যে টেন্ডার না করে গোপনে বিক্রি করা হবে। হিডকোর প্রাইম লোকেশনে থাকা কোন জমি এখনও ফাঁকা আছে, সেগুলি তালিকাভুক্ত করেই ক্রেতাদের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল তারা। কেএমডিএ-র জমি বিক্রির ক্ষেত্রেও একই ভাবে তালিকা বানিয়েছে বলে তদন্তকারীদের কাছে খবর। আর এই লোভে অনেকেই পা দিয়েছেন ৷ যার ফলে তাদের বেশ ভালো পরিমাণ টাকাও খোয়া গিয়েছে। গ্যাঁটের কড়ি খরচা করেও জমি হাতে পাননি ক্রেতারা। এদিক পলাতক বিক্রেতারা ৷
এই প্রতারণার ঘটনায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ। এরপরই গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘সাধারণ মানুষের কাছে আমার আবেদন এই ভাবে জমি বিক্রি করা হয় না ৷ সরকারি জমি বিক্রি করতে হলে নির্দিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় ৷ অথবা অনেক জমি এক লপ্তে বিক্রি করতে গেলে মন্ত্রীসভার অনুমোদন নেওয়া হয় ৷ তারপরেই সেই জমি বিক্রি করা হয়। ফলে কেউ যদি এসে বলে সরকারি জমি বিক্রি আছে তাকে বিশ্বাস করবেন না।’
এদিকে দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক অবশ্য জানাচ্ছেন, হিডকোর জমি কোথায়, কতটা আছে তার তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। সেখান থেকেই জমির খোঁজ পাওয়া যায়। তবে কাগজ যে ভাবে জাল করা হয়েছে তা দেখে অবাক দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা। ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, হিডকো এবং কেএমডিএ-র জমি বণ্টন বিভাগে ওই চক্রটির গভীর যোগাযোগ না থাকলে কোনওমতেই এই তালিকা তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই চক্রের পাণ্ডাদের সঙ্গে যুক্তদেরও গ্রেফতারের দাবিও উঠেছে। তদন্তকারী গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, হিডকোর শীর্ষকর্তাদের অজ্ঞাতেই এমন জমি কেলেঙ্কারি ঘটেছে।