মালদহ থেকে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে কলকাতায় পৌঁছেছেন মালদহের নিহত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার। মাস ছয়েক আগেই তাঁর স্বামীকে খুন করেছে দুষ্কৃতিরা। আর শহিদ দিবসের সমাবেশে এসে এই প্রসঙ্গেই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল তাঁকে। বললেন, তাঁর স্বামীকে যাঁরা খুন করেছেন, তাঁদের কেউ কেউ এখনও তৃণমূলে রয়েছেন।
মালদহ জেলায় তৃণমূলের সহ–সভাপতি ছিলেন দুলাল ওরফে বাবলা সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খুন হন তিনি। গতবছর একুশে জুলাই গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মালদহ থেকে কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার এখন মালদহ জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান। কর্মীদের নিয়ে এবার কলকাতায় পৌঁছান তিনি। একসময় তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশে মালদহ থেকে কর্মীদের আনার দায়িত্ব পালন করতেন এই দুলাল ওরফে বাবলা সরকার-ই।
কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে কর্মীদের পাশে নিয়ে স্বামীর মৃত্যুতে দলের বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে বাবলা সরকারের স্ত্রী জানান, ‘দুলাল সরকার দলের কাছে কী ছিলেন, আমাদের নেত্রী বারবার বলেছেন। যখন খুব কম সংখ্যক মানুষ তৃণমূল করতেন, তখনও তিনি দৌড়ে বেড়িয়েছেন। দলনেত্রীও তাঁর পাশে থেকেছেন।’ এরই রেশ ধরে এদিন তিনি এও বলেন, ‘যাঁরা আমার স্বামীকে মারলেন, তাঁদের কেউ কেউ এখনও দলে রয়েছেন। তাঁদের আমি কী করে আমাদের দলের বলে মেনে নেব? তাঁরা দলে থেকে দলের ক্ষতি করছে। তাঁরা কখনওই দলের হতে পারে না। তাঁরা দলের কথা ভাবেন না। তাঁদের অভিসন্ধি, দলের থেকে সুযোগ সুবিধা নেওয়া।’
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘বারবার করে আমি বলেছি, অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ করানোর ক্ষেত্রে ভালভাবে যেন খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু সেটা দেখা হয় না। অভাব তো থাকছেই। আমি দিদিকে সব জানিয়েছি।’ তবে তিনি প্রত্যয়ী ছাব্বিশে মালদহে তৃণমূল ভাল ফল করবে। এই প্রসঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনে মালদহে ভাল ফল হয়নি। এবার বিধানসভায় ভাল ফল হবেই। ১২টি আসনের সবগুলিই পাব।’